করণদিঘি: ফের মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হলেন এক মহিলা। পরকীয়ার অভিযোগ তুলে ওই মহিলাকে মারধর করে তার চুল কেটে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মহিলার বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ বাবুলাল সিংহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ওই মহিলার অবৈধ সম্পর্ক আছে বলে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন বাবুলাল সিংহের স্ত্রী। এই অভিযোগ করার পরই পুলিশ বাবুলালকে গ্রেপ্তার করে। এরপরই বাবুলাল সিংহের বৌদি প্রীতি সিংহ স্থানীয় কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে নির্যাতিতাকে মারধর করেন। এমনকি তাঁর বাড়ি থেকে সোনার গয়না ও টাকা পয়সাও হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা। মারধর ও টানা হ্যাঁচড়া চলায় ওই মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মহিলাকে মারধরের অভিযোগে প্রীতি সিংহকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়।
এদিকে মারধরের ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। তবে কী কারণে এই মারধর তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছেন নির্যাতিতা মহিলা। তিনি জানান, কেন আমাকে মারধর করল এবং চুল কেটে নিল জানি না। নির্যাতিতার শ্বশুর আসারু সিংহ জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর অনুপস্থিতে গ্রামের প্রীতি সিংহ ও তার আত্মীয়স্বজনরা তার দেওর বাবুলাল সিংহের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ দেওরকে গ্রেপ্তার করায় নির্যাতিতাকে উঠোনে ফেলে মাথার চুল কেটে নেয় বাবুলালের বৌদি প্রীতি সিংহ। স্থানীয় বাসিন্দ গোপাল সিংহ বলেন, ‘বিনা কারণে একজন মহিলার মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়েছে’ জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মিনা বলেন, ‘বিডিও-র মাধ্যমে রিপোর্ট পেয়েছি। পুলিশ ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি। আইন মোতাবেক যা কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে তা নেওয়া হবে।‘