উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ব্রিগেডে সমাবেশের ডাক দিল ভারতের গণতান্ত্রিক যুব সংগঠন বা ডিওয়াইএফআই। সোমবার ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির কথা জানান, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি সমাবেশ হবে। তার আগে সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবস ও পদযাত্রার কর্মসূচিও পালিত হবে। কোচবিহার থেকে এই পদযাত্রা সব জেলা ছুঁয়ে কলকাতার ব্রিগেডে যাবে বলে জানা গেছে। সেখানেই সমাবেশের মাধ্যমে ২ মাস ধরে চলতে থাকা কর্মসূচির সমাপ্তি হবে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, লোকসভা ভোটের আগে মজবুত করতেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আর মুখ হিসেবে রাখা হয়েছে সিপিএমের তরুণ নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। এমনিতেই ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের পর সিপিএমের সাংগঠনিক শক্তি তলানিতে এসে ঠেকেছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল যেটুকু লড়াই দিতে পেরেছিল, ধূপগুড়িতে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে লোকসভা নির্বাচনে ফল যে আদৌ ভাল হবে না তা বুঝতে পারছে আলিমুদ্দিন। এমনকি অনেক মহল থেকে সিপিএমের নেতৃত্বের দিকেই আঙুল তোলা হচ্ছে। সীতারাম ইয়েচুরি সহ বঙ্গ সিপিএমের অনেককেই খারাপ ফলের জন্য নিশানা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কী দলের সংগঠনের জোর বাড়াতে মীনাক্ষিকে ভরসা করতে চাইছে বঙ্গ সিপিএম?
এমনিতে বাম সমর্থকদের মধ্যে মীনাক্ষীর ভাল জনপ্রিয়তা রয়েছে। মীনাক্ষীর সভাসমিতিতে ভিড়ও হয় ভাল। সেটাকে কাজে লাগিয়েই কি লোকসভায় কিছুটা হলেও পায়ের তলায় মাটি ফিরে পেতে চাইছে সিপিএম। ব্রিগেডের আগে দু’মাস ধরে যে পদযাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ইনসাফ যাত্রা। অর্থাৎ সংখ্যালঘুদের মন পেতেই সিপিএম এমন নামকরণ করেছে বলে মনে করছে অনেকে। তবে মীনাক্ষীর কথায়, ‘কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের বিরুদ্ধেই তাঁদের এই কর্মসূচি’ তবে মনে করা হচ্ছে, নামে ডিওয়াইএফআইয়ের কর্মসূচি হলেও আদতে এই সমাবেশ সফল করতে আসরে নামবে সিপিএমই। ইতিমধ্যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে জেলাগুলোকে সেই বার্তা দিয়েও দেওয়া হয়েছে। দলের অনেক নেতাই মনে করছে, ব্রিগেড ভরাতে অসুবিধে হবে না সিপিএমের। কিন্তু ভোটবাক্সে বা সংগঠনে এর কতটা প্রতিফলন পড়বে সেটা কিন্তু বড় প্রশ্ন।