উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: রশ্মিকা মান্দানা, ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল, আলিয়া ভাটের পর এবার ডিপফেক প্রযুক্তির শিকার প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারের মর্ফড ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি ব্র্যান্ডের প্রচার করছেন প্রিয়াঙ্কা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার একটি ভিডিও। অন্যান্য অভিনেত্রীদের মতো যদিও কোনও বিতর্কিত ভিডিওর জন্য প্রিয়াঙ্কার মুখ ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু, তাঁর কণ্ঠ ও আসল ভিডিও থেকে বাক্যগুলো বদলে একটি ভুয়ো ব্র্যান্ডের প্রচার ভিডিও তৈরি করা হয়েছে। ওই ভুয়ো ক্লিপিংয়ে শোনা যাচ্ছে যে প্রিয়াঙ্কা নাকি তাঁর বার্ষিক আয়ের পরিমাণ প্রকাশ করছেন এবং সেই সঙ্গে একটি ব্র্যান্ডের প্রচার করছেন। যে পোস্ট থেকে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সেটি প্লে করে দেখা গেলেও, অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডলটি ক্লিক করা যাচ্ছে না বলেও অনেকের দাবি।
কিছুদিন আগেই, একটি কারচুপি করা ভিডিও ভাইরাল হয় যেখানে কাজলের মুখ ব্যবহার করা হয়েছিল। আসল ভিডিওয় ছিলেন ইনফ্লুয়েন্সার রোজি ব্রিন। তাঁর টিকটকে পোস্ট করা ‘গেট রেডি উইথ মি’র অংশ সেই ক্লিপিং। অর্থাৎ এমনভাবে দেখানো হয় যে অভিনেত্রী ক্যামেরার সামনেই জামাকাপড় বদলাচ্ছেন।
এই ‘ডিপফেক’ এর ফাঁদে প্রথম পড়েছিলেন রশ্মিকা মান্দানা। তারপর ক্যাটরিনা কাইফ, কাজল। এমনকী কিছুদিন আগেই সচিন তেন্ডুলকরের কন্যা সারা তেন্ডুলকরও এই ফাঁদে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি সরবও হয়েছিলেন এই বিষয়ে। তারপর তালিকায় নাম জোড়ে আলিয়া ভাটের।
এর আগে রশ্মিকার ‘ডিপফেক’ ভিডিও কাণ্ডে দিল্লি পুলিশের তরফে স্পেশাল সেল পুলিশ স্টেশনে একটি ‘ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট’ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যায় পুলিশ সূত্রে। দিল্লি পুলিশের তরফে বলা হয়, ‘রশ্মিকা মান্দানার ডিপফেক এআই-জেনারেটেড ভিডিওর প্রসঙ্গে, ভারতীয় দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৬৫ ও ৪৬৯ ধারার অধীনে ও আইটি অ্যাক্ট, ২০০০-এর ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল পুলিশ স্টেশনে এবং তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’