নয়াদিল্লি: রাজধানী দিল্লির বুকে আবারও শোনা গেল ধাতব গর্জন, আবারও বুলডোজারের আঘাতে ধূলিসাৎ হল অসংখ্য বাড়ি, দোকানপাট, স্থাবর সম্পত্তি। এক মুহূর্তে খোলা আকাশের নীচে চলে এলেন অসংখ্য মানুষ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ পূর্ব দিল্লির কালকাজি অস্থায়ী বস্তি অঞ্চলে, মঙ্গলবার দুপুরে সেখানকার রিফিউজি জুগগি কলোনিতে বুলডোজার নিয়ে বেআইনি নির্মাণ এবং বাসস্থান গুড়িয়ে উচ্ছেদ কর্মসূচি চালায় বিজেপি শাসিত ডিডিএ বা দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অর্থরিটি। এর ফলে প্রায় শতাধিক মানুষ হলেন ঘরহারা। এদিন সেই ‘অবৈধ’ উচ্ছেদকার্য এবং বুলডোজারের দৌরাত্ম্যের ভিডিও টুইট করে দিল্লি রাজ্যমন্ত্রী এবং আপ নেত্রী অতিশি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লির সাধারণ মানুষকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যেখানে যেখানে বস্তি-ঝুপড়ি; সেখানেই হবে পাকা নির্মাণ। কাউকে গৃহহীন করা হবে না। সেই প্রতিশ্রুতি কী ভুলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী?’
উল্লেখ্য উত্তর পশ্চিম দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী ও দক্ষিণে শাহীনবাগ অঞ্চলে বুলডোজার চালানোর পর এদিন কালকাজি অঞ্চলে চললো বুলডোজার। এর আগে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় অশান্তির পর পুরনিগমের উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। পরবর্তী কালে, উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাহীনবাগ অঞ্চল। ২০১৯ সালের শেষ এবং ২০২০-র শুরুতে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছিল যেখানকার রাস্তা। এদিন দক্ষিণ দিল্লি পুরনিগমে বুলডোজার দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে, আজ কালকাজিতে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। বুলডোজার নিয়ে পুরনিগমের কর্মীরা উচ্ছেদ অভিযানে এলে ওই বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদ করেন স্থানীয় মানুষ। ফলে থমকে যায় পুর অভিযান। বিক্ষোভে স্থানীয়দের সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস ও আম আদমি পার্টির সমর্থকেরা। যদিও শেষপর্যন্ত রোখা যায়নি ‘বুলডোজার সন্ত্রাস’। এক নিমেষে ধুলো হয়ে গেল বহু মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার ঘর-সংসার।