ফাঁসিদেওয়া: রোগীকে না দেখেই রেফার করার অভিযোগ উঠল হাসপাতালে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। শনিবার ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোগীর পরিবারের সদস্য এবং হাসপাতালের কর্মীদের বচসায় ব্যপক উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ, রোগীকে পরীক্ষা না করেই চিকিৎসক নার্সকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করাতেই উত্তেজনা ছড়ায়। ফাঁসিদেওয়ার বিএমওএইচ ডাঃ অরুণাভ দাস বলেন, ‘সংবাদমাধ্যম থেকেই বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখনও এইরকম কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। তবে সংশ্লিষ্ট রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। তিনি এখন আগের থেকে ভালো আছেন।‘
জানা গিয়েছে, গন্ডগোলের পরই সংবাদকর্মীরা ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছোলে, বহির্বিভাগ থেকে জরুরি বিভাগে আসেন অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক। এই হাসপাতালেই সংশ্লিষ্ট রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনার পরই হাসপাতালের পরিষেবা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই রোগীর পরিজনেরা। জানা গিয়েছে, বমি ও পেটে ব্যাথা নিয়ে এদিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন সরস্বতী রায়। অভিযোগ, তাঁকে চিকিৎসক পরীক্ষা না করেই দূর থেকে দেখে রেফার করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন।
গোটা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাসপাতালে হাজার হাজার মানুষ হাজির হন। বিভিন্ন সময়ে রোগীকে পরীক্ষা না করেই শুধু ওষুধ লিখে দায়সারা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হচ্ছে বলে রোগীর পরিজনদের দাবি। এর জেরে রোগী এবং তাঁর পরিবার হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। সরস্বতীদেবীর স্বামী ললিত রায়ের কথায়, ‘সংবাদকর্মী দেখতেই চিকিৎসক এসে ভর্তি নিয়েছেন। এই হাসপাতালের পরিষেবা এখন তলানিত ঠেকেছে। গ্রামীণ এই হাসপাতালে কর্মীর কোনও অভাব নেই, রয়েছে চিকিৎসা করার সদিচ্ছার অভাব।