জটেশ্বর: বছর তিনেক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রতিবেশী তরুণের সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এরপর সেই পরিচয় প্রেমের সম্পর্ক অবধি গড়ায়। কিন্তু প্রেমিকা বারংবার বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেন। তখন প্রেমিক তাঁকে নিজের বাড়িতে ডাকে। কিন্তু কোথায় কী? বিয়ে করা তো দূরের কথা, প্রেমিকা বাড়িতে আসলে তাঁকে দেখে চম্পট দেয় প্রেমিক তরুণ। বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে গত মঙ্গলবার প্রেমিকের বাড়িতে ধর্নায় (Woman Stages Dharna) বসেন ওই তরুণী।
তবে দু’দিন কাটতে না কাটতেই প্রেমিকা তরুণীর উপর তরুণের মা সহ জনাকয়েক প্রতিবেশী চড়াও হয়। অভিযোগ, তরুণীকে গালাগাল দেওয়ার পাশাপাশি দুর্ব্যবহারও করে তারা। বাধ্য হয়ে ধর্না থেকে উঠে বুধবার রাতে পুলিশে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) জটেশ্বর-২ (Jateshwar) গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁঠালবাড়ি এলাকায়। জটেশ্বর ফাঁড়ির ওসি অমিত শর্মা বলেন, ‘তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’
কাঁঠালবাড়ির এক তরুণের সঙ্গে তিন বছর আগে জটেশ্বর-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু বিয়ের কথা উঠলেই বারংবার তরুণীকে নানাভাবে এড়িয়ে যেত তরুণ। সে প্রেমিকাকে বিয়ে করবে না বলে সরাসরি জানিয়েও দিয়েছিল। এরপরই মাস খানেক আগে ওই তরুণী বিষপান করেন। তখন তরুণ ও তরুণীর পরিবার আলোচনায় বসলেও কোনওরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি। তখন ফের ওই তরুণীর সঙ্গে তরুণের যোগাযোগ হলে অভিযুক্ত বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু তরুণী তার বাড়িতে গেলেই তরুণ গা-ঢাকা দেয়। পরে তরুণী ধর্নায় বসলে নানা ঝামেলার সৃষ্টি হয়।
তরুণীর বক্তব্য, ‘আমি ন্যায় বিচার পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি।’ তরুণীর মায়ের কথায়, ‘আইন আইনের পথেই চলুক। আমার মেয়ে সাবালিকা, তার নিজস্ব মতামত রয়েছে। আমি চাই আইন আইনের পথেই চলুক।’