মণীন্দ্রনারায়ণ সিংহ, আলিপুরদুয়ার: অন্যান্যবার বিনামূল্যে অনুমতি দেয় বন দপ্তর। এবার শিবরাত্রিতে মহাকালধামে (Jayanti Mahakal Dham) ভাণ্ডারা বসানোর জন্য সিকিউরিটি মানি হিসেবে ২৫ হাজার টাকা করে চাইছে বন দপ্তর। সিকিউরিটি মানি জমা করা না হলে বসার অনুমতি দেওয়া হবে না। যা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। বন দপ্তর জানিয়েছে, ভাণ্ডারার জায়গা পরিষ্কার করে দেওয়া হলে উদ্যোক্তাদের জমা সেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে। শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে বড় মহাকাল ও ছোট মহাকালে যাওয়া পুণ্যার্থীদের জন্য বিভিন্ন সংগঠন এমনকি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও অনেকে ভাণ্ডারা নিয়ে জয়ন্তীতে হাজির হন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এতদিন যদিও সিকিউরিটি মানি জমা করতে হত না। সরকারি ওই নিয়মে অনেক উদ্যোক্তা ভাণ্ডারা বসানো নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।
আগামী ৮ মার্চ শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে সেই ভাণ্ডারার আয়োজকদের নিয়ে শুক্রবার বিকেলে রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতি পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে প্রশাসনের সঙ্গে ভাণ্ডারার আয়োজকদের বৈঠক হয়। শিবরাত্রিতে মহাকাল মন্দিরে যাওয়ার জন্য কয়েকদিন আগে থেকে লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী জয়ন্তীতে ভিড় করেন। অতিরিক্ত জেলা শাসক অশ্বিনী রায় বলেন, ‘পুণ্যার্থীদের জন্য জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে। তবে বন দপ্তরের যা যা নিয়ম রয়েছে, সেটা মেনে সবাইকে সেখানে যেতে হবে।’
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) শহরের নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে জয়ন্তী মহাকালধাম সেবা সংস্থা নামে গত ১০ বছর ধরে ভাণ্ডারা চালানো হয়। ওই সংস্থার প্রতিনিধি পাপ্পু গুপ্তা বলেন, আগে কোনওদিন ওই কাজের জন্য সিকিউরিটি মানি জমা করতে হয়নি। এবার ২৫ হাজার টাকা চাওয়া হচ্ছে। কোথায় পাব ওই টাকা? আলিপুরদুয়ার নব উদয় ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক সমীর বসাক বলেন, ‘সিকিউরিটি মানি ২৫ হাজার টাকা জমা করতে বলেছিল। পরবর্তীতে সেটা কমিয়ে এদিন ১০ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়।’