মোস্তাক মোরশেদ হোসেন, লঙ্কাপাড়া: ছবিটা দ্রুত পালটে গেল! বন্ধ চা বাগান আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) লঙ্কাপাড়ায় (Lankapara) গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর একটি পিকনিক স্পট এবং ইকো পার্কের উদ্বোধন করা হয়। বৃহস্পতিবার লঙ্কাপাড়ায় এলেন লন্ডনের (London) একদল পর্যটক। বেশ কয়েক ঘণ্টা সেখানে কাটিয়ে গেলেন তাঁরা। পাশাপাশি এদিন সেখানে বসে চারদিকের নয়নাভিরাম দৃশ্যকে রংতুলিতে ফুটিয়ে তুললেন কলকাতা (Kolkata) সহ ভিনরাজ্যের একদল শিল্পী।
অথচ বছর দুয়েক আগেও বিদেশি কিংবা ভিনরাজ্যের তো দূরের কথা, মাদারিহাট-বীরপাড়া ব্লকের অন্য এলাকার লোকজনই লঙ্কাপাড়ায় পা রাখার সাহস পেতেন না। পরপর খুনজখমের ঘটনার জেরে লঙ্কাপাড়া হয়ে গিয়েছিল আতঙ্ক শব্দটির সমর্থক। একসময় পুলিশ প্রশাসন গা-ঝাড়া দেয়। কড়া হাতে দমন করা হয় দুষ্কৃতীদের। এগিয়ে আসেন এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষজন। মনোকামনা সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে পিকনিক স্পট ও ইকো পার্ক গড়া হয়। গত এক মাস ধরে প্রতিদিন শয়ে-শয়ে মানুষ গিয়েছেন লঙ্কাপাড়ায়। বিশেষ করে রবিবার ও ছুটির দিনগুলিতে ভিড় উপচে পড়েছে।
এদিন ঝাড়খণ্ডের শিল্পী পাওয়ান রায় জানান, ঝাড়খণ্ড, অসম ও উত্তরবঙ্গের ১৬ জন শিল্পীর কেউ ভুটান পাহাড়, কেউ লঙ্কাপাড়া চা বাগান, কেউ আবার চন্দ্রবীর ধারা ও তিতি নদীর সংগমস্থলকে ফুটিয়ে তোলেন তুলিতে। পাওয়ান বলেন, ‘এধরনের শান্ত এবং দূষণমুক্ত পিকনিক স্পট খুব কমই দেখা যায়। আমরা সত্যিই মুগ্ধ।’ জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য বিশাল গুরুং বলেন, ‘এলাকায় শান্তি বজায় রাখার পাশাপাশি পর্যটনকে কেন্দ্র করে লঙ্কাপাড়ার অর্থনৈতিক ভিত শক্ত করাই আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। সেখানে পর্যটক টানতে জেলা পরিষদের তরফে লঙ্কাপাড়ায় সুইমিং পুল সহ একাধিক পরিকাঠামো করার ভাবনা চলছে। পাশাপাশি ট্যুরিজম চালুতেও স্থানীয়দের সহযোগিতা করা হবে।’