রাঙ্গালিবাজনা: আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের শিশুবাড়িতে নাককাটি ঝোরার গ্রাসে বিঘার পর বিঘা জমি। স্থানীয়রা জানান, পাড়ভাঙন রোধে কোনও উদ্যোগ নেই। ফলে পাড় ভেঙে চওড়া হতে হতে ঝোরাটি কয়েক বছরের ব্যবধানে নদীর আকার নিয়েছে। উত্তর শিশুবাড়ি ও মুন্সিপাড়ায় তৈরি করা দু’টি সেচবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছে সেচ ব্যবস্থা। ভাঁটাখোলানে ঝোরার ওপর তৈরি করা কালভার্টটিও ভেঙে পড়েছে। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের উদাসীনতায় কৃষকরা পথে বসতে চলেছেন বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্তদের।
স্থানীয়রা জানান, মিল চৌপথিতে ঝোরার পূর্ব তীরে একটি ছোটো বোল্ডারের পাড়বাঁধ তৈরির পর থেকে ঝোরাটি পশ্চিম তীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, বোল্ডারের পাড়বাঁধটি ঝোরার পশ্চিম তীরে তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু করা হয়েছে পূর্ব তীরে। এছাড়া এলাকার এক প্রভাবশালী নেতা ব্যক্তিস্বার্থে পাড়বাঁধ তৈরি এমনকি মুন্সিপাড়ার সেচবাঁধ পুনর্নির্মাণেও বাগড়া দিয়েছেন বলে অভিযোগ। এনিয়ে ক্ষোভ চরমে ওঠে পঞ্চায়েত ভোটের আগে। বেঁকে বসেন তৃণমূলের নীচুতলার কর্মীরা। দক্ষিণ শিশুবাড়িতে তৃণমূল মনোনীত প্রার্থীর বদলে তাঁরা নির্দল প্রার্থী বাবলি রুসদাকে ভোটে জেতান। স্থানীয়রাই জানান, বিধায়ক মনোজ টিগ্গা সেখানে একটি পাড়বাঁধ তৈরির উদ্যোগ নিলেও বাধার সৃষ্টি করা হয়। তবে মাদারিহাট বীরপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির নবনির্বাচিত সদস্য সাজিদ আলম জানান, নাককাটি ঝোরার পাড়ভাঙন পরিস্থিতি সেচমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। মাদারিহাটে এলে সম্ভবত তিনি শিশুবাড়ি পরিদর্শন করবেন।