শিলিগুড়ি: অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ করায় ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার হুমকি দিচ্ছেন বলে এক ব্যক্তি অভিযোগ করলেন। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিধান ঘোষ শনিবার টক টু মেয়র (Talk To Mayor) অনুষ্ঠানে ফোন করে সরাসরি মেয়রের কাছে এই অভিযোগ করেছেন। তাঁর আরও দাবি, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ওই নির্মাণ ভাঙা হচ্ছে না। অভিযোগ শুনে মেয়র ওই ব্যক্তিকে বলেন, ‘আদালতের নির্দেশিকার প্রতিলিপি বিল্ডিং বিভাগে কিংবা আমার ব্যক্তিগত সচিবকে দিয়ে যান। আমি দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’ ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারের অবশ্য দাবি, তিনি ওই ব্যক্তিকে চেনেনই না। তাঁর দাবি, ‘আমি এরকম কিছু জানিই না। ওই নামে কোনও ব্যক্তিকে চিনিই না তো হুমকি কাকে দেব।’ শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের বক্তব্য, ‘আমি জানি না কী হয়েছে। আমাকে ডেপুটি মেয়রের সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
মেয়র তিন সপ্তাহ পর এদিন টক টু মেয়র অনুষ্ঠান করেন। এদিনের অনুষ্ঠানে ৮০ শতাংশ অভিযোগই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে এসেছে। ২০০৯ সালে কংগ্রেসের বোর্ড থাকাকালীন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের একটি অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ ওঠে। ২০১৪ সালে ওই ঘটনায় কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার রায়ে আদালত অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিতে বলে বলে ওই ব্যক্তির দাবি। সেই ঘটনায় বারবার অভিযোগকারী ব্যক্তিকে ডেকে ডেপুটি মেয়র হুমকি দিচ্ছেন বলে টক টু মেয়রে ফোন করে অভিযোগ করেন।
অন্যদিকে, এদিন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রতন পাল নিজের বাড়ির সামনে রাস্তা দখল নিয়ে অভিযোগ জানান। তাঁর বক্তব্য, প্রোমোটার পুরনিগমের রাস্তা দখল করে রেখেছে। পুরনিগম কি প্রোমোটারদের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে রতন পাল নামে ওই ব্যক্তি প্রশ্ন করেন। তাঁর কথার প্রত্যুত্তরে মেয়রের বক্তব্য, ‘সকলের সংযত হয়ে কথা বলা উচিত। আমি গিয়ে এলাকা দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’ এদিন আরও একটি অবৈধ নির্মাণ নিয়ে অভিযোগ এসেছিল। সেখানে নোটিশও করা হয়েছে। এরপর আর নির্মাণ ভাঙা হয়নি বলে টক টু মেয়রে অভিযোগ আসে। ওই সময় পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক মেয়রকে বলেন, ‘১ নম্বর বরোর চেয়ারপার্সন গার্গী চট্টোপাধ্যায় কথা বলবেন বলেছেন।’ তখন মেয়র ওই আধিকারিককে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘কারও কথা শুনতে হবে না। নির্মাণটি অবৈধ বলে প্রমাণিত হলে সব ভেঙে দিতে হবে। শীঘ্রই ওই নির্মাণ ভেঙে ফেলুন।’ এর বাইরে রবীন্দ্রনগর, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড সহ একাধিক এলাকা থেকে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে।