উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে (Lunar south pole) তৈরি হবে আস্ত গবেষণাগার (Research station)! ঠিক এমনই পরিকল্পনা করেছে চিন (China)। জানা গিয়েছে, ২০৪৫ সালের মধ্যে চাঁদে বহুস্তরীয় গবেষণার ‘প্লাটফর্ম’ তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হবে। আপাতত সেই লক্ষ্যমাত্রা ধরেই এগোচ্ছে বেজিং। এই পরিকল্পনা সফল হলে মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে চিন অন্য দেশগুলির থেকে অনেক এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চাঁদে যে গবেষণাগার তৈরির কথা বলা হচ্ছে সেটির নাম রাখা হয়েছে ইন্টারন্যাশানাল লুনার রিসার্চ স্টেশন (The International Lunar Research Station)। মূলত দু’টি ধাপে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে চিনের। ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রথম ধাপটি সম্পন্ন হতে পারে। এই ধাপে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রাথমিকভাবে কিছু গবেষণার আয়োজন করা হবে। নিয়মিত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং সীমিত সম্পদ ব্যবহারের ভিত্তি তৈরিই হবে প্রথম ধাপের মূল লক্ষ্য। দ্বিতীয় ধাপ অর্থাৎ ২০৪৫ সালের মধ্যে আরও বিস্তৃত এবং শক্তিশালী করে তোলা হবে চাঁদের গবেষণাগার। এই পর্যায়ে একটি মহাকাশ স্টেশন তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে চিনের। যা চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে এবং ‘সেন্ট্রাল হাব’ (Central hub) হিসাবে গবেষণায় সাহায্য করবে।
দীর্ঘ দিন ধরেই চিনের নজরে রয়েছে চাঁদ। তারা চাঁদে মহাকাশযানও পাঠিয়েছে। এখনও পর্যন্ত চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে পেরেছে মোট পাঁচটি দেশ। তারা হল, আমেরিকা, রাশিয়া, চিন, ভারত এবং জাপান। তবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও চিন সেভাবে কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেনি। আর চাঁদের এই দক্ষিণ মেরুতে সূর্যের আলো ঠিকভাবে পৌঁছায় না। কিন্তু এই অংশে জল থাকার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেই কারণেই সম্ভাবনাময় চাঁদের এই অংশে গবেষণাগার তৈরি করতে চাইছে চিন। গত বছরই চাঁদের এই অংশে চন্দ্রযান পাঠিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখেছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)।