বালুরঘাটঃ চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে জ্বরে আক্রান্ত শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। এই ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে মৃত শিশুর পরিবারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে সোমবার দুপুরে হাসপাতাল সুপারকে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। যদিও মারধরের কথা অস্বীকার করেছে মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ। পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস। এদিকে বালুরঘাট থানার পুলিশ সোমবার দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷
জানা গেছে, মৃতের নাম অনুরূপ মুখার্জি(৮)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম ট্যাক্সি স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। গতকাল অর্থাৎ রবিবার দুপুরে হঠাৎই জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বালুরঘাটে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে আসে পরিবার৷ সেখানে চিকিৎসককে না পেয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জ্বরে আক্রান্ত শিশুকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু পরে মারা যায় ওই শিশু। পরিবারের অভিযোগ হাসপাতালে চিকিৎসায় গাফিলতির কারণেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে তারা অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে পরিবার বলে জানিয়েছেন৷
চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার পরিজিনেরা। বিক্ষোভ চলাকালীন বিক্ষোভকারীরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অরুণাভ মণ্ডল নামে এক নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। এই ঘটনায় এদিন নিরাপত্তারক্ষীরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও মৃতের পরিবারের তরফে মারধর করার কথা অস্বীকার করা হয়েছে। কে বা কারা মারধোর করেছে তা জানা নেই বলেই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, নিরাপত্তা রক্ষীদের তরফ থেকে একটা অভিযোগ পেয়েছেন। তাদের কাল রাতে মারধর করা হয়েছে। পুরো বিষয়য়ি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ওই শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থা আনা হয়েছিল। এখানে হাসপাতালের গাফিলতির কোন কারণ নেই৷ কোন নিরাপত্তারক্ষী আন্দোলন করেননি৷ এনিয়ে তারা একটা মারধরের অভিযোগ করেছে৷ সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷