অভিজিৎ ঘোষ, আলিপুরদুয়ার: হঠাৎ অ্যাম্বুল্যান্স প্রয়োজন? কাকে ফোন করবেন বুঝে উঠতে পারছেন না? কেমন হবে, যদি মোবাইলে একটি অ্যাপ খুললেই কাছাকাছি কোনও অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে কি না, তার তথ্য পেয়ে যান?
এই ভাবনা ঘুরছে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের কর্তাদের মাথায়। কোনও অ্যাপের মাধ্যমে জেলার সব অ্যাম্বুল্যান্স (Ambulance) ট্র্যাক করা যায় কি না, সেই পরিকল্পনা চলছে। আবার কিউআর কোড ব্যবহার করে এই কাজ করা যায় কি না, সেই চেষ্টাও চলছে। যদিও জেলা কর্তাদের বক্তব্য, এসবই আপাতত প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। আপাতত জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার সব অ্যাম্বুল্যান্সের মালিকদের তথ্য নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। জেলায় প্রায় ১২০টি অ্যাম্বুল্যান্স রয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এই তথ্য নেওয়ার কাজ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।
এর আগে একবার জিপিএস দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সগুলি ট্র্যাক করার কথা হয়েছিল। এখন আলোচনা চলছে গুগলের মাধ্যমে ট্র্যাক করার। এজন্য চালক ও মালিকদের জি-মেল আইডি নেওয়া হচ্ছে। সেটা দিয়ে গুগল আর্থে অ্যাম্বুল্যান্স ট্র্যাক করা হবে।
জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ অধিকর্তা সুশোভন মণ্ডলের বক্তব্য, ‘জিপিএস লাগানোর খরচ বাঁচানোর জন্যই নতুন এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমাদের কন্ট্রোল রুম থেকে ওই জি-মেল দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স ট্র্যাক করা হবে। এই তথ্য আমরা পুলিশ এবং হাসপাতালগুলোর সঙ্গেও ভাগ করে নেব।’তাঁর সংযোজন, ‘কন্ট্রোল রুমের নম্বরও দিয়ে দেওয়া হবে সাধারণ মানুষকে। ভবিষ্যতে সাধারণ মানুষ যেন অ্যাম্বুল্যান্স ট্র্যাক করতে পারে সেজন্য অ্যাপ বা কিউআর কোডের ভাবনাও রয়েছে আমাদের।’ জেলায় অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে ডিসেম্বর মাস থেকে। সময়মতো অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে ঢেকলাপাড়া চা বাগানের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।