আলিপুরদুয়ার : বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ২৮ বস্তির কেয়ালুং গুম্বায় পালিত হলো ডমফু উৎসব। তামাং জনজাতির ডমফু আদতে বাদ্যযন্ত্র। ষষ্ঠ বর্ষ বক্সা ট্যুরিজম এবং কালচারাল কার্নিভালের (Tourism Carnival) সপ্তম দিনে সেই বাদ্যযন্ত্রকে ঘিরেই হয়ে গেল উ৻সব। ডুয়ার্স তামাং বৌদ্ধ সংঘের সহযোগিতায় এবং কেয়ালুং গুম্বা কমিটির পরিচালনায় ডমফু এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
তামাং জনজাতির মানুষেরা এই বাদ্যযন্ত্রটি বাজিয়ে থাকেন। বর্তমানে এর প্রচলন কিছুটা হলেও কমেছে। এই বাদ্যযন্ত্রট সংরক্ষণ এবং সেটিকে চারিদিকে ছড়িয়ে দেবার জন্যই এই কার্নিভালে এই বাদ্যযন্ত্রকে কেন্দ্র করে উ৻সবের আয়োজন করা হয়েছে। যারা ডমফু বাজান তাদের ডমফুরে বলে ডাকা হয়ে থাকে। বিয়ে সহ যেকোনও শুভ অনুষ্ঠান এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এই বাদ্যযন্ত্র বাজানোর রেওয়াজ আছে তামাং সম্প্রদায়ের মধ্যে। মূলত ছাগলের চামড়া দিয়ে বাদ্যযন্ত্রটি তৈরি করা হয়। যন্ত্রটি গোলাকার, ভেতরের দিকে বাঁশের ৩২টি কাঠি দিয়ে আটকানো রয়েছে। এদিন গুম্বা চত্বরে কালচিনি ব্লকের ডমফু বাদকরা গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডমফু বাজান। সেই সঙ্গে কালিম্পঙ জেলার কাফেরগাওঁয়ের শিল্পীরাও এখানে অনুষ্ঠান করেন। মারুনি নৃত্য পরিবেশন করেন গরুবাথানের শিল্পীরা। অনুষ্ঠান করতে আসা কালচিনি ব্লকের পাসাং মায়া লামা জানান, ডমফু বাজানোর মধ্যে যথেষ্ট আনন্দ আছে। ডুয়ার্স তামাং বৌদ্ধ সংঘের সাধারণ সম্পাদক জানান, তামাং সম্প্রদায়ের বাদ্যযন্ত্রকে এখানে স্থান দেওয়ার ফলে এর চর্চা আরও ছড়িয়ে পড়বে।