উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মণিপুরকে পৃথক রাষ্ট্র করার দাবি দীর্ঘ ৬০ বছরের। এই দাবিতেই সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে আসছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউএনএলএফ। এবার সেই দাবি থেকে সরে এসে কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করল মণিপুরের এই অন্যতম বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। বুধবার দিল্লিতে এসে শান্তি চুক্তিতে সই করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। এই বিষয়টি ঐতিহাসিক সাফল্য বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা। অমিত শা মনে করেন, উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি ফেরাতে মোদি সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফল।
দীর্ঘ ৬০ বছর বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন থেকে সরে এল মণিপুরের অন্যতম প্রধান বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউএনএলএফ। এদিন দিল্লিতে এসে শান্তি চুক্তি সই করেছেন সংগঠনের সদস্যরা। বুধবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইউএনএলএফের শান্তি চুক্তির খবর প্রকাশ্যে আনেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি দাবি করেছেন, অস্ত্র ত্যাগ করে সংগঠনের সদস্যরা শান্তির পথে ফিরেছেন। এমনই এক ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
চলতি বছরের ৩ মে থেকে জাতিদাঙ্গায় উত্তাল হয় গোটা মণিপুর। এই সংঘর্ষ বাধে মূলত কুকি-মেইতেই এর মধ্যে। এই সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছে দেড় শতাধিক মানুষের। রাজ্যে শান্তি ফেরাতে বারবার প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হতে হয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যকে। যদিএ বিরোধীদের দাবি, সেরাজ্যে শান্তি ফেরানোর কোনও উদ্যোগই নেয়নি কেন্দ্র। অস্ত্র ত্যাগ করে ইউএনএলএফের শান্তি চুক্তি অনেকটি স্বস্তি দিয়েছে বিজেপি শাসিত মণিপুরকে।
এদিন অমিত শাহ টুইট করে জানান, “উত্তর-পূর্বে শান্তি ফেরাতে নিরলস প্রচেষ্টা করছে মোদি সরকার। সেই প্রচেষ্টায় নয়া অধ্যায় ইউএনএলএফের শান্তি চুক্তি। মণিপুরের সবচেয়ে পুরনো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউএনএলএফ হিংসা ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরতে রাজি হয়েছে। গণতন্ত্রের পথে তাঁদের স্বাগত জানাই। আগামী দিনের জন্য তাঁদের শুভেচ্ছা রইল।”
এদিকে ইউএনএলএফের শান্তি চুক্তির দিনই মণিপুরের কুকি ও মেইতেই গোষ্ঠীগুলোর উপরে নিষেধাজ্ঞা উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।গঠন করা হয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে এই সংগঠনগুলোর নাম। ইতিমধ্যেই তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইউএপিএ আইনের ধারায়। আরও পাঁচ বছরের জন্য তাদের নিষিদ্ধ করতে চায় কেন্দ্র।