গাজোল: প্রথাগত চাষের পাশাপাশি বেশ কয়েক বছর ধরে কিছু জমিতে বিকল্প চাষ করে ঘরে তুলছেন বাড়তি পয়সা। বিকল্প হিসেবে করছেন ক্যাপসিকাম চাষ। তবে ওই জমিতে শুধু ক্যাপসিকাম নয়, তার পাশাপাশি আধুনিক পদ্ধতিতে একই জমিতে সাথী ফসল বা ইন্টার ক্রপিং হিসেবে কলা এবং বিনসের চাষ করছেন। এইভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে একই জমিতে তিনটি ফসল চাষ করে চাষিদের দিশা দেখাচ্ছেন বৈরগাছি-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কয়লাবাদের বাসিন্দা অনিমেষ সিংহ। জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে ওই চাষিকে। কলা এবং বিনসের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে হলুদ কিংবা ওল চাষ করা যেতে পারে বলে মনে করছে উদ্যান পালন দপ্তর।
অনিমেষ সিংহের বাড়ির কাছেই রয়েছে তাঁর জমি। নিজেই চাষাবাদ করেন। বাড়ির কাছেই জমি হওয়ার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে বিভিন্ন চাষ করেন তিনি। আর এতেই এসেছে সাফল্য। গত ৩ বছর ধরে ক্যাপসিকাম চাষ করছেন। প্রথম বছর বেশ ভালো দাম পেয়েছেন। তবে গত বছর দাম একটু কম ছিল। এবার ভালো দামের আশায় রয়েছেন। অনিমেষ বাবু জানালেন, পাইকারি ৩০-৪০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করতে পারলে বেশ ভালোই লাভের মুখ দেখবেন এবার। সেপ্টেম্বর মাসে বীজ থেকে ক্যাপসিকামের চারা তৈরি করা হয়। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের দিকে জমিতে চারা রোপন করতে হয়। এরপর নিয়মিতভাবে গাছের পরিচর্যা করতে হয়েছে। ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে ক্যাপসিকাম ফলতে শুরু করেছে। আর প্রায় দুই সপ্তাহ পর থেকে ক্যাপসিকাম তুলতে শুরু করবেন। ভালো মানের বীজ এবং ঠিকমতো পরিচর্যা করতে পারলে একেকটি ক্যাপসিকামের ওজন প্রায় ৪০০ গ্রাম হয়। এবার জমিতে ক্যাপসিকামের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে বিনস ও জি-নাইন প্রজাতির কলা চাষ করা হয়েছে।
জেলা উদ্যান পালন দপ্তরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক বলেন, ‘অন্যান্য ব্লকের পাশাপাশি বর্তমানে গাজোলের বেশকিছু এলাকায় ক্যাপসিকামের চাষ হচ্ছে। অনিমেষবাবু ক্যাপসিকামের পাশাপাশি সাথী ফসল চাষ করেছেন। ক্যাপসিকাম ও বিনস উঠলে ওই জমিতে কলার পাশাপাশি ওল ও হলুদও চাষও করতে পারেন।‘