চাঁচল: বড়দিনের সন্ধ্যায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় সাফল্য পেল মালদার চাঁচল থানার পুলিশ। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে শাহজাহান (৩৪) নামে এক যুবক। ধৃতের বাড়ি চাঁচল থানার মল্লিকপাড়ার নিমগাছি গ্রামে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক এই ডাকাতির লিংকম্যান। ডাকাতদের সমস্ত খবরাখবর সরবরাহ করত সে। আর এই যুবকের গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিহার যোগ আরও স্পষ্ট। কারণ ধৃত বিহার সীমান্তবর্তী গ্রামের বাসিন্দা। তাই তাকে জেরা করলেই সমস্ত রহস্যের জট খুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মালদার চাঁচল বাজারে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বাইকে করে ডাকাত দলটি এসে সোনার দোকানটিতে হানা দেয়। বন্দুক উঁচিয়ে দোকানের কর্মীদের ভয় দেখাতে থাকে তারা। দোকান থেকে সমস্ত গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দলটি। যাওয়ার সময় শূন্যে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায় এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলার ব্যবসায়ী মহল। ঘটনার তদন্তে গঠন হয় বিশেষ টিম। আসরে নামে সিআইডি। ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায় মেলে প্রাথমিক সাফল্য। শুধু লিংকম্যান নয়, বাকি দুষ্কৃতীদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, ‘আমরা বাকি দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারি চাইছি। আর চুরি যাওয়া গয়না উদ্ধার করে দিতে হবে। আগামী ৪ জানুয়ারি উত্তর মালদার ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা পুলিশ সুপারের কাছে ডেপুটেশন দেব।’