উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমশ সম্পর্কের পারদ চড়ছে কানাডা ও ভারতের।ফাটল আরও চওড়া হল কূটনৈতিক টানাপোড়েনে। ভারত সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা স্থগিত করে দিল কানাডার নাগরিকদের জন্য। অনলাইন ভিসা আবেদন কেন্দ্র বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলে, ‘অপারেশনাল কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে।’
দুই দেশের মধ্যে তুমুল সংঘাত খলিস্তানপন্থী শিখ নেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। হরদ্বীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক লড়াইতে জড়িয়েছে ভারত ও কানাডা। এই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে খুন হলেন সুখা দুনেকে নামে আর এক খলিস্তানপন্থী সন্ত্রাসবাদী। নিজ্জর খুনের ঠিক তিন মাসের মাথায় একই পদ্ধতিতে বুধবার কানাডার উইনপিগে গুলিতে ঝাঁঝরা করে মারা হয় তাঁকে।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্কে ফাটল ধরে জি-২০ সম্মেলনের আগেই। বর্তমানে সেই ফাটল আরও চওড়া হয়।কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো খলিস্তানপন্থী নাগরিকের মৃত্যুর পর সরাসরি কাঠগড়ায় দাড় করায় ভারতকে।বহিষ্কার করেন ভারতীয় কূটনীতিক পবনকুমার রাইকে।কানাডার যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক নিজেদের বিবৃতি প্রকাশ করে কানাডার এক হেভিওয়েট কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।এমনকি বহিষ্কৃত কূটনীতিককে পাঁচদিনের মধ্যে ভারত ছাড়ার কথা বলে।সুত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ভারতের বিষয়ে নাক গলানোর জন্যই দিল্লির এই পদক্ষেপ।এরই মধ্যে কানাডার নাগরিকদের জন্য ভারতের ভিসা সার্ভিস বন্ধের বিজ্ঞপ্তি থেকেই স্পষ্ট, দুই দেশের সম্পর্কের ফাটল সহজে মেটার নয়।
অন্যদিকে আমেরিকা ভারত-কানাডার সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।বুধবার হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিনি ওয়াটসন এক বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘কানাডার সমালোচনা করেছে আমেরিকা বলে যে খবর আসছে তা ভিত্তিহীন। এর কোনও সত্যতা নেই। আমরা এই বিষয়ে নিয়মিত আলোচনা করছি কানাডার প্রশাসনের সঙ্গে। তাদের তদন্তে সমর্থন করছি। অন্যদিকে ভারত সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে আমাদের।’
অন্যদিকে মার্কিন প্রশাসন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে খলিস্তানী বিতর্কে। দুই দেশকেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে সমান গুরুত্ব। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে, কানাডা ও ভারত এই দু’দেশের সঙ্গে খারাপ করতে চাইছেনা ওয়াশিংটন।কেননা এই দুই দেশের সঙ্গেই রাজনৈতিক এবং ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে আমেরিকার।