উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ অর্জুন (Arjun Singh) বিজেপিতে ফিরতেই দলবদলের হিড়িক ব্যারাকপুরে (Barackpore)। তবে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নয়, বরং বিজেপি ছেড়েই জোড়াফুলের পতাকা হাতে নিচ্ছেন একসময়ের অর্জুন অনুগামীরা। নেতা হোক বা কর্মী, উপরতালা থেকে নিচতলা সর্বত্রই একই চিত্র। তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিকের (Partha Bhowmik) মুখে চওড়া হাসি ফুটলেও কপালে চিন্তার ভাঁজ অর্জুনের। যদিও দলবদল নিয়ে কোনও মন্তব্যই করেনি তৃণমূল।
ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে অর্জুন সিংকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এতেই গোসা হওয়ায় প্রার্থী হতে ঝাঁপ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। নিজের দলীয় কার্যালয় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি তৃণমূলের পতাকা দূর করে দিয়েছেন। মমতার ছবির জায়গায় শোভা পাচ্ছে নরেন্দ্র মোদির ছবি। এবার তাঁর গড়েই নাকি ৪০ জন বিজেপি কর্মী দল ছেড়ে যোগদান করেছেন তৃণমূলে। এমনই দাবি করলেন সেচমন্ত্রী ভৌমিক। রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার দোগাছিয়ায় পার্থ ভৌমিকের হাত ধরে ওই সকল বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলে যোগদান করেন। আর তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেওয়ার পরই অর্জুনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন পার্থ। ব্যারাকপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বললেন, “মানুষের উচ্ছাস তো দেখতেই পাচ্ছেন। তাই মানুষ আর ২০১৯ ব্যারাকপুরের বুকে ফেরাতে চাইছেন না। যদি আমার বন্ধু বিজেপি থেকে প্রার্থী হন তাহলে আর সেখানে বিজেপি করার লোক থাকবে না। দলে-দলে সব উল্টো দিকে চলে আসবে।”
সম্প্রতি তৃণমূল ছাড়ার পর থেকেই পার্থ ভৌমিককে নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন অর্জুন সিং। বলেছেন, “নৈহাটিতে বিঘার পর বিঘা জমি কেনা রয়েছে শাহজাহান ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের। বিধায়ক ছাড়া তো কেউ সাহায্য করবে না। সন্দেশখালিতে শাহজাহানকে বাঁচাতে কাকে পাঠাতে হল? ওইখানকার তো বিধায়ক আলাদা রয়েছে। তাহলে পার্থবাবুকে কেন পাঠানো হল? এই সবটাই তদন্ত হবে। তৃণমূল ভাল করেই জানে সবটা।” এই অভিযোগেরও যথাযথ উত্তর দেন পার্থ ভৌমিক। বলেন, “কাগজগুলো দেখিয়ে দিক। তাহলে এত বলতে হয় না।”