ময়নাগুড়ি: তীব্র জলসংকটে ভুগছে শহর ময়নাগুড়ি। দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির দেখা না মেলায় কুয়োর জলও গিয়েছে শুকিয়ে। তার ওপর জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পানীয় জলও সব জায়গায় পৌঁছায়নি। যে কয়টি এলাকায় জল মেলে তা নিয়েও শুরু হয়ে যায় কাড়াকাড়ি। জানা গিয়েছে, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য আম্রুত ২ প্রকল্পে পুরসভাকে ৩১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ডিটেলড প্রোজেক্ট রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করা হয়ে গেলেও টেন্ডার করা যায়নি। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। সেকারণে খরা মরশুমে জলকষ্টেই কাটাতে হবে শহরবাসীকে।
ময়নাগুড়ি কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মধুসূদন কর্মকার বলেন, ‘পশ্চিমী ঝঞ্ঝা সেভাবে ঢোকেনি। যার ফলে এবার শীতেও বৃষ্টি হয়নি। উত্তরবঙ্গজুড়ে শেষ বড় ধরনের বৃষ্টি হয়েছিল গত বছর অক্টোবর মাসে। তারপর থেকে আর বৃষ্টির দেখা মেলেনি।’ পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডেই কুয়োর জল শুকিয়ে গিয়েছে। ফলে গৃহস্থালির কাজ করতে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। ১ নম্বর ওয়ার্ড পেটকাটির বাসিন্দা হাসি সান্যাল বলেন, ‘কুয়োতেও জল নেই। খুব সমস্যায় পড়েছি।’ পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা অলোক সেন বলেন, ‘কুয়োতে পাইপ দিয়ে পাম্প বসানো রয়েছে। কিন্তু জল এতটাই নীচে চলে গিয়েছে যে মেশিন চালিয়েও জল উঠছে না।’
এবিষয়ে বিজেপির ময়নাগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি সঞ্জীব বর্ধন বলেন, ‘বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে ব্যর্থ পুরবোর্ড। শহরজুড়ে জলের জন্য ত্রাহি ত্রাহি রব উঠেছে। এরপর বাসিন্দারা জলের পাত্র নিয়ে মিউনিসিপ্যালিটি অফিস ঘেরাও করবেন।’ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টির দেখা না মেলায় কুয়োর জল শুকিয়ে যাচ্ছে। তবে আম্রুত-২ প্রকল্পে পুরসভাকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ৩১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ডিটেলড প্রোজেক্ট রিপোর্টও (ডিপিআর) তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে টেন্ডার করা যায়নি এখনও পর্যন্ত।’