সৌম্যজ্যোতি মণ্ডল, চাঁচল: কথিত রয়েছে নবীন দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা পুত্র সন্তানের জন্য মানত করেছিলেন গঙ্গা মায়ের কাছে। সেই মনস্কামনা পূর্ণ হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় পুজো। ধীরে ধীরে সেই পুজো সার্বজনীন হয়ে যায়। পুজো উপলক্ষ্যে নদীর ধারে বসতে শুরু করেছে মেলা। মালদার (Malda) চাঁচল (Chanchal) ১ নম্বর ব্লকের আশাপুরে (Ashapur) মহানন্দা নদীর ধারে সেই মেলার খ্যাতি রয়েছে জেলাজুড়ে। মকর সংক্রান্তির রাতে গঙ্গাদেবীর পুজোর মধ্যে দিয়ে সেই মেলার সূচনা হবে। তিনদিন ধরে মেলা (Ganga Mela) চলবে।
জানা যাচ্ছে, দর্শনার্থীদের সবথেকে বেশি ভিড় হবে মঙ্গলবার। মাঘ মাসের প্রথমদিনে মহানন্দায় স্নান করে গঙ্গাপুজো দিতে আসেন পুণ্যার্থীরা। মালদা, উত্তর দিনাজপুর এবং পার্শ্ববর্তী বিহার থেকে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেলায় বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান থাকলেও আশাপুরের মেলা প্রসিদ্ধ মুড়ি-আলুর দমের জন্য। এছাড়াও এই মেলায় থাকছে কাঠের আসবাবপত্র, লৌহ সামগ্রী, মুনিহারি, মিষ্টান্ন ভান্ডার সহ আরও বিভিন্ন দোকান। রয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানও।
বর্তমানে আশাপুর এবং ডুমরাল গ্রামের মানুষদের যৌথ উদ্যোগে হয় এই মেলা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, এই বছর মেলায় প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান বসেছে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে থাকছে অনুসন্ধান কেন্দ্র। পোশাক বদলানোর জন্য নদীঘাটের পাশে করা হয়েছে অস্থায়ী ঘর। করা হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্থায়ী শৌচালয়ও।
মেলা কমিটির সভাপতি সরোজ কুমার সাহা বলেন, ‘নদীর চরেই গঙ্গা মায়ের পুজোমণ্ডপ করা হয়েছে। শুক্রবার হবে নিরঞ্জন পর্ব। তিন ধরে চলবে মেলা।’ জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন, ‘এই মেলার খ্যাতি জেলার বাইরেও রয়েছে। আশাপুর আমার সংসদীয় ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে। এই মেলাকে সম্প্রীতির মিলনমেলাও বলা যেতে পারে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে।’