তুফানগঞ্জ: এক সালিশি সভা চলাকালীন বেধড়ক মারে গুরুতর জখম হলেন দুইজন। রক্তাক্ত অবস্থায় একজনকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আরেকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের অন্দরানফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মাস্টারপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেলে অন্দরানফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মাস্টারপাড়া এলাকায় কার্তিক আর্যের বাড়িতে একটি সালিশি সভা বসে। সেই সালিশি সভায় অন্দরানফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা দীপক দাস ও সৌরভ দাসকে আচমকা বেধড়ক মারধর করেন অন্দরানফুলবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কুচিয়ামারি এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব আর্য, বিকাশ আর্য সহ বেশ কয়েকজন। এতে ক্ষুব্ধ সালিশি সভা করতে আসা লোকজন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করান। সৌরভের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মাথায় বেশকিছু সেলাই সেলাই পড়েছে।
সৌরভের বাবা দীপকবাবু বলেন, ‘আমার ছেলে সৌরভ আর্য পরিবারের কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিল। ইতিমধ্যে কিছু টাকা শোধ করা হলেও বাকি টাকা কিছু দিন পর পরিশোধ করব বলে জানাই। এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সালিশি সভা ডাকা হয় আত্মীয় কার্তিক আর্যের বাড়িতে। সালিশি সভায় মীমাংসার জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা ছিলেন। কিন্তু একটি সভা চলাকালীন পূর্ব পরিকল্পনা মতো লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে ছেলে ও আমার উপর। সভার বিচারকরা বাঁচাতে এলে তাঁদেরও আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় ছেলে ও আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।‘
কার্তিক আর্য বলেন, ‘আমার বাড়িতে এদিন সালিশি সভা চলছিল। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই বিপ্লব আর্য, বিকাশ আর্য দীপক দাস ও সৌরভ দাসের উপর আক্রমণ চালায়।‘
অন্দরানফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির ৯/১৯৩ বুথের বুথ সভাপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথ জানান, সালিশি সভা চলাকালীন এইভাবে হামলা করা একদম আইন বিরোধী কাজ। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।