বালুরঘাট: প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন স্বামী। তারপরেই শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। এই অশান্তির জেরে কিছুদিন বাবার বাড়িতে থাকেন দ্বিতীয় স্ত্রী। এরপর ফিরতে চাইলে রাজি হননি স্বামী। তাই ফের সংসার করার দাবিতে বালুরঘাটে(Balurghat) স্বামীর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন স্ত্রী। এরপরেই শুক্রবার গলায় গামছা পেঁচিয়ে স্বামীর প্রথম পক্ষের নাবালিকা মেয়েকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে একাই থাকতেন স্বামী। পরে হিলি ব্লকের এক মহিলাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর তাঁদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। তারপরই বাবার বাড়ি চলে যান স্ত্রী। পাঁচ মাস আগে গত বছর ডিসেম্বরে স্বামীর বাড়িতে ঢোকার দাবিতে ধর্নায় বসেন তিনি। জানান, তিনি সংসার করতে চান। সেইসময় ধর্নায় সঙ্গ দিয়েছিলেন তাঁর মা ও ভাই। বেশ কয়েক দিন ধর্না চলেছে। মাঝেমধ্যেই তিনি এমনভাবে ধর্নায় বসতেন। ওই মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। স্বামীর দাবি, তাঁর মান সম্মান নষ্ট করতেই বারবার এভাবে ধর্না দিচ্ছেন স্ত্রী।
এদিকে ওই মহিলার দাবি, ‘সাড়ে তিন বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। দেড় বছর আগে আমাকে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তাই ধর্নায় বসি। আমাদের সেই পারিবারিক অশান্তি আদালত পর্যন্ত গড়ায়।’ এর মধ্যেই শুক্রবার ওই মহিলার বিরুদ্ধে বালুরঘাট থানার দ্বারস্থ হন স্বামী। অভিযোগ, তাঁর ১৩ বছরের মেয়ের গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুনের চেষ্টা করেন দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এদিন সকালে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে বিচারের জন্য জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিন বিচারক ওই মহিলার আগামী ৫ জুন পর্যন্ত জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।
বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা জানান, নাবালিকা মেয়েকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেছিলেন স্বামী। অভিযোগের ভিত্তিতে আজ সকালে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর আদালতে পেশ করা হয়েছে।