করণদিঘিঃ ভাবা যায়! সংখ্যালঘু স্কলারশিপে দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ১০ জনের নামে রয়েছে ১৩০টি পুকুর! এই ঘটনা জেনে ভিড়মি খাচ্ছেন সবাই। এদিকে এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়ায় অসন্তুষ্ট রবিবার সিআইডিকে রীতিমতো ভর্ৎসনা করেছেন রায়গঞ্জ জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল সেশনস জজ অরুণ সিং। মামলার গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে তাঁর প্রতিক্রিয়া, এই মামলায় তদন্ত শুরুর সময় যা যা বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজন ছিল তা করেননি সিআইডির প্রাক্তন তদন্তকারী অফিসার দিলীপ কুমার দাস। তাঁর সঙ্গে আসামিদের কোনও সম্পর্ক রয়েছে কিনা অথবা কোনও লেনদেন হয়েছে কিনা তা নিয়েও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
এই দুর্নীতির মামলায় রবিবার সাবধান হাইস্কুলের শিক্ষাকর্মী ও পার্শ্ব শিক্ষককে তিনদিনের সিআইডি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ধৃতদের কাছ থেকে ৯ লক্ষ টাকার জমির দলিল, ১৬০টি এটিএম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে সিআইডি। অভিযুক্তরা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চারটি সিএসপি থেকে কয়েকশো অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করত। কোটি কোটি টাকা তারা ব্যাংক থেকে তুলেও নিয়েছে বলে জানতে পেরেছে সিআইডি।
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটার সাওন চৌধুরী বলেন, ‘ধৃত মহম্মদ ফাইজুল রহমান ও আবদুস সালামকে চারদিনের সিআইডি হেপাজতের আবেদন করা হয়েছিল। বিচারক তিনদিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। ধৃতদের কাছ থেকে বেনামি জমির কাগজপত্র সহ আরও অনেক কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাদের আয় ও ব্যয়ে অনেক অসঙ্গতিও ধরা পড়েছে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি আর কিছু বলা সম্ভব নয়।’
রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘সিআইডির আগের তদন্তকারী অফিসার যেভাবে তদন্ত করার প্রয়োজন ছিল তা তিনি করেননি। এনিয়ে আজ বিচারক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে বর্তমান তদন্তকারী অফিসার সঠিকভাবে তদন্ত করছেন বলে বিচারক জানিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, এই দুর্নীতি মামলায় আট অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও সিআইডি। বাকি দু’জন গত ১৭ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। তাঁদের নাম মহম্মদ ফাইজুল রহমান ও আবদুস সালাম। বাড়ি করণদিঘি ব্লকের আলতাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাবধান গ্রামে। দু’জনেই এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হিসাবে পরিচিত।