বেলাকোবাঃ পাকা রাস্তার দাবিতে চলছিল পথ অবরোধ। আর নির্বাচনী প্রচারে এসে অবরোধের মুখে পড়লেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়। গাড়ি থেকে নেমে জলমগ্ন রাস্তা পেড়িয়ে স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শুনলেন সাংসদ। শুক্রবার বিকেলে এমনই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের পানিকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া এলাকায়।
জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের পানিকৌড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি পাকা রাস্তার। পানিকৌড়ি মোড় থেকে মগরাডাঙির রাজগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতাল পর্যন্ত আনুমানিক দুই কিলোমিটার রাস্তা প্রায় দশ বছর থেকে বেহাল। এই বেহাল রাস্তা দিয়ে রাজগঞ্জ ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েত মাঝিয়ালী সন্ন্যাসীকাটা, কুকুরজান, সুখানি এলাকার বাসিন্দাদের চিকিৎসার জন্য আসতে হয় মগরাডাংগি হাসপাতালে। হাসপাতালে অ্যাম্বুল্যান্সে অথবা অন্য কোনও যানে হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়াও এই রাস্তা দিয়েই শিল্প তালুকে যায় ভারী ভারী যানবাহন। প্রাণ হাতে নিয়েই যাতায়াত করতে গাড়ি চালকদের। বর্ষা আসলে এই রাস্তা আরও ভয়াবহ আকার ধারন করে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত। খানা খন্দে ভরা। জলমগ্ন হয়ে রয়েছে রাস্তাটির জায়গায় জায়গায়। স্থানীয়দের অভিযোগ ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু রাস্তাটি আর পাকা পাকা হয়না। ফলে বাধ্য হয়েই তারা ভোটের মুখে অবরোধে শামিল হয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে বহুবার পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকাবাসী। পুলিশ প্রশাসন, বিডিও, গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান উপস্থিত হয়ে এলাকাবাসীকে আশ্বাস দিলেও কেউ কথা রাখেনি। তাই ভোটের মুখে ফের পথ অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।
শুক্রবার এই এলাকাতেই নির্বাচনী প্রচারে আসেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। তিনিও গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভ সামাল দিতে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আসেন জলমগ্ন রাস্তায়। হাঁটু জল পেড়িয়েই এদিন তিনি স্থানীয়দের অভাব অভিযোগ শোনেন। তিনি বলেন, বহুবার এই রাস্তার কাজ এমপি ফান্ডের টাকা দিয়ে করতে চেয়েছিলেন কিন্তু রাজ্য সরকার তা করতে দেননি। এবার পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করলে তিনি এই রাস্তা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।