বাগডোগরা: রাজ্যর বন ও পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র না মেলায় বাগডোগরা বিমানবন্দরে সম্প্রসারণের কাজ থমকে রয়েছে। রাজ্যের ছাড়পত্র পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশাবাদী দার্জিলিংয়ের সাংসদ তথা বাগডোগরা বিমানবন্দরের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান রাজু বিস্ট। রাজু বলেন, ‘টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ফিন্যান্স দপ্তরের ছাড়পত্রও পাওয়া গিয়েছে। এখন শুধু রাজ্য সরকারের ছাড়পত্র প্রয়োজন। আশা করছি সেটাও পাওয়া যাবে। রাজ্যের ছাড়পত্র পেলেই কাজ শুরু হবে।’
ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। কাজের শিলান্যাস করতে গেলে নির্বাচনি বিধিভঙ্গ হবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে অবশ্য রাজু বলেন, যেহেতু আগে থেকেই এই বিমানবন্দর সম্প্রসারিত করার প্রক্রিয়া চলছে তাই সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
দীর্ঘদিন থেকে জমিজটের জেরে এই বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ হয়ে ছিল। জমিজট কাটিয়ে টেন্ডার সহ যাবতীয় প্রক্রিয়া পার করে এখন শুধুই বন ও পরিবেশ দপ্তরের ছাড়পত্র মিলছে না কেন তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। কেন ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যাধুনিক এই বিমানবন্দর নির্মাণে ছাড়পত্র পেতে দেরি হচ্ছে উঠছে সেই প্রশ্নও। যাত্রী পরিষেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে। দেশের মধ্যে দ্রুতগতিতে বেড়ে ওঠা বিমানবন্দরের মধ্যে বাগডোগরা অন্যতম। পরিসংখ্যান বলছে গত বছর এই বিমানবন্দরে ২৫ লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। চলতি বছরে যাত্রী সংখ্যা বেড়ে ৩২ লাখে পৌঁছাবে। আগামী ১২ বছর পরে ১ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এর জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দর দ্রুত সম্প্রসারণ করে অত্যাধুনিক করা প্রয়োজন।
বিমানবন্দর অত্যাধুনিক করার জন্য ভারত সরকারের অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের তরফ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ১৫ হাজার কোটি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা টাকা ব্যয়বরাদ্দ রাখা হয়েছে।