বাগডোগরাঃ জাল নথিপত্র তৈরি করে এক আদিবাসীর জমি হাতানোর অভিযোগ উঠল। জমিটি নিজেদের নামে করায় অভিযুক্ত এলাকারই দুই জমি কারবারি। তারা আবার সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। অভিযোগ, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তরের এক শ্রেণির কর্মীদের ‘হাত করে’ নিজেদের নামে নথি তৈরি করেছেন। যদিও অভিযুক্ত ছেলে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভুট্টাবাড়ির আদিবাসী তরুণ সুমন পান্নার অভিযোগ, বাগডোগরার বিবেকানন্দপল্লির বাসিন্দা বিভূতি দাস ও তার ছেলে বিপ্লব দাস দক্ষিণ বাগডোগরা মৌজার ৯৯ জেএল নম্বরের ২৫৫ ও ২৫৬ দাগ নম্বরের মোট পাঁচ বিঘা জমি নিজেদের নামে খতিয়ান করে নিয়েছেন। সুমন বলেন, ‘আমার বাবা পিত্রুশ পান্না ১৯৯০ সালে জমিটি কিনেছিলেন। দলিলের নম্বর যথাক্রমে ৭১৩১ ও ৭১৩২। জমি এখনও আমাদের দখলেই রয়েছে। জমি কেনার পরই নকশালবাড়ি বিএলআরও দপ্তরে নামজারি করতে গিয়ে জানতে পারি বাগডোগরার বিবেকানন্দপল্লির বিভূতি দাস ও বিপ্লব দাস ১৪০৪ নম্বর খতিয়ানের মাধ্যমে জমিটি তাদের নামে রেকর্ডভুক্ত করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে গেলে উলটে হুমকি দিয়ে দ্রুত জমিটি তাদের হাতে তুলে দিতে চাপ দিচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের ভূমি ও ভূমি রাজস্ব বিভাগের সচিব, রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাগডোগরা থানা, নকশালবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর সহ সর্বত্র গত ২০ মার্চ ডাকযোগে অভিযোগ জানিয়েছি।’ নকশালবাড়ি ব্লক ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক বিপ্লব হালদার বলেন, ‘আমি কোনও অভিযোগ পাইনি। পেলে দুই পক্ষকে নোটিশ করে নথিপত্র পরীক্ষা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ অন্যতম অভিযুক্ত বিপ্লব দাস বলেন, ‘সুমন পান্না বলে কাউকে চিনি না। ওখানে আমাদের জমি রয়েছে। কেনার সময়ই চেন ডিড দেখে রেজিস্ট্রেশন করে নামজারি করা হয়েছে। আমার ও আমার বাবার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রয়োজনে যাবতীয় নথিপত্র দেখাতে পারব।’ বাগডোগরা পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের কাছে এখনও কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।