ভুবনেশ্বর: বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার চার মাস অতিক্রান্ত। এখনও ২৮ জনের দেহ অশনাক্ত রয়ে গিয়েছে। ওই দেহগুলির কোনও উপযুক্ত দাবিদার পাওয়া যায়নি। সেই দেহগুলি আর সংরক্ষণ করা যাবে না। এবার সেই দেহগুলি সৎকারের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলে জানাল ভুবনেশ্বর পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
ওই দেহগুলি এতদিন ভুবনেশ্বর এইমসে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করে রাখা ছিল। ভুবনেশ্বর পুরসভা জানিয়েছে, যেহেতু দেহগুলির কোনও উপযুক্ত দাবিদার পাওয়া যায়নি, এবার দেহগুলি প্রশাসনের উদ্যোগেই দাহ করা হবে। দুর্ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। তাই ওই দেহগুলি সিবিআইয়ের উপস্থিতিতে পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার দেহগুলি সৎকারের পরিকল্পনা চলছে বলে জানানো হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়াটি ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে রেকর্ড করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২ জুন ওডিশার বালাসোরের বাহানাগা বাজারের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে চলতে থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ডাউন লাইনে ও নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। সেই লাইন দিয়ে তখন উলটো দিক দিয়ে আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরাগুলি গিয়ে পড়ে ডাউন লাইনের উপর।
বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন ট্রেনটি সেই বেলাইন কামরাগুলির উপর এসে পড়ে। হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। উদ্ধারকাজে আনা হয় একাধিক উন্নত মানের যন্ত্র। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯৭ জনের। আহত হাজারেরও বেশি। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় রেল দুর্ঘটনার নজির নেই।