বালুরঘাট: প্রায় মাস খানেক ধরে বিকল হয়ে রয়েছে বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারের বাতানুকূল ব্যবস্থা। বিষয়টি একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তীব্র গরমের মধ্যে ব্লাড সেন্টারে রক্ত দিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে, গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা স্বাস্থ্যকর্মীদের। ব্লাড সেন্টারে বাতানুকূল ব্যবস্থা ঠিক কবে হবে তা নিয়ে ধন্দে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ।
বালুরঘাট জেলা সদর হাসপাতালের সঙ্গেই রয়েছে বালুরঘাট ব্লাড সেন্টার। জেলা সদর হাসপাতাল হওয়ায় এই ব্লাড সেন্টারে রক্তের চাহিদাও স্বাভাবিকভাবেই বেশি। রক্তদাতা ও রোগীর পরিবার পরিজনদের আনাগোনা লেগেই থাকে। যার ফলে ব্লাড সেন্টারে চাপও অনেক বেশি। স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী পুরো ব্লাড সেন্টারে বদ্ধ ঘরে হবে। সেই কারণে সেখানে জানালা নেই। পুরো ব্লাড সেন্টারে রয়েছে বাতানুকূল ব্যবস্থা। সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে প্রায় মাস খানেক ধরে বিকল ব্লাড সেন্টারের বাতানুকূল ব্যবস্থা। গোটা ব্লাড সেন্টার মিলে একটা মেশিন শুধু কাজ করছে। এদিকে স্বাস্থ্য দপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী, বৈদ্যুতিক পাখাও ব্যবহার করা সম্ভব নয়। সেই ক্ষেত্রে তীব্র গরমের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এমনকি রক্তদাতাদের গরমের মধ্যেই রক্তদান করতে হচ্ছে। বাতানুকূল ব্যবস্থা খারাপ তা ব্লাড সেন্টারের তরফে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে লাভ হয়নি কিছুই।
এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারে আসা রোগীর আত্মীয় শিল্পী চৌধুরী বলেন, ‘আমার এক আত্মীয় নার্সিংহোমে ভর্তি আছে। ডোনার দিয়ে রক্ত নিতে এসেছি বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারে। এসে দেখি ভেতরে এসি বিকল হয়ে রয়েছে। যারা রক্ত দিচ্ছেন তারা অসুস্থ বোধ করছেন। বিষয়টি দ্রুত সারাই করলে সকলে উপকৃত হবে।‘
এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দুলাল বর্মন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারের এসি বিকল হয়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যেই রক্ত দিতে হাসপাতালে আসি। রক্তদাতারা অনেক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এমনকি ব্লাড সেন্টারে স্বাস্থ্যকর্মীরা গরমের মধ্যেই কাজ করছেন। আশা রাখছি খুব দ্রুত প্রশাসন এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন এবং বিকল এসি সারাই করবেন।‘
এবিষয়ে বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এবং স্বাস্থ্য দপ্তরে বিষয়টি জানানো হয়েছে। একবার পূর্ত দপ্তরের ইলেকট্রিক বিভাগ থেকে বিকল এসি সারাই করা হয়। কিন্তু সবটা ঠিক হয়নি। যার ফলে এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে দ্রুত তা ঠিক করার।‘
অন্যদিকে, এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, ‘বিষয়টি নজরে এসেছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।‘