বালুরঘাট: শিশু ও প্রসূতিদের খাবারের জন্য বরাদ্দ টাকা সঠিক সময়ে পাচ্ছেন না অঙ্গনওয়াড়ির ( ICDS Centre ) কর্মীরা। অগ্নিমূল্যের বাজারে ন্যূনতম টাকা বরাদ্দ হিসেব হয়। যে টাকা দিয়ে ডিম বা অন্য সামগ্রী কেনা সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রেই শিশু ও প্রসূতিদের বরাদ্দ থেকে কম খাবার দিতে বাধ্য হচ্ছেন অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা। মুদি ও সবজি দোকানে বাকি রয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। এখন তো জিনিসপত্র দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বালুরঘাটের ( Balurghat ) বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে খাবার দিতেই পারেননি কর্মীরা। খাবার নিতে এসে খালি হাতেই ঘুরে যেতে হয়েছে শিশু ও তাদের অভিভাবকদের। এনিয়ে ক্ষোভ দেখিয়েছেন অভিভাবকরা। টাকা না পাওয়ার জন্য এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলেই দাবি শিক্ষিকাদের। টাকা না পেলে আগামী সপ্তাহে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর ( Dakshin Dinajpur ) জেলায় সব মিলিয়ে ৩২০০-র বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে শিশু ও প্রসূতিদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয়। অভিযোগ, গত তিন-চার মাস ধরে খাবারের টাকা নিয়মিত পাচ্ছেন না অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা। এখন ডিমের দাম সাড়ে ৮ টাকা হলেও দেওয়া হচ্ছে আড়াই টাকা। জ্বালানি টাকাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। এই সব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে দাবি অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীদের।