পঙ্কজ মহন্ত, বালুরঘাট: আস্ত পাকা নির্মাণ। কিন্তু তা পেছনে হেলে পড়েছে। গভীর ফাটল ধরেছে চারিদিকে। পুরোটা ছেয়ে রয়েছে লতানো গাছ। দূর থেকে দেখে অনেকটা ভূতুড়ে বাড়ি বলেই মনে হচ্ছে। বালুরঘাটের (Balurghat) চকরাম গ্রামে এমনই বেহাল দশা যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের (Passenger Waiting Room)। বসার জায়গা ভেঙে পড়েছে, দেয়ালও খসে পড়েছে। খোদ সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দত্তক নেওয়া গ্রামে এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে। ক্ষোভ বাড়ছে নিত্যযাত্রীদেরও।
বালুরঘাট থেকে যাওয়ার পথে মূল রাস্তার ধারেই রয়েছে এই যাত্রী প্রতীক্ষালয়। পেছনে নয়ানজুলিতে ভেঙে পড়ার অবস্থা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির দখলে এসেছে পঞ্চায়েতটি। কিন্তু এখনও এই প্রতীক্ষালয়ের বেহাল দশার কথা জানা নেই কর্তৃপক্ষের। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছোতে এখানেই অপেক্ষা করতেন যাত্রীরা। এমনকি রোদ, ঝড়, বৃষ্টির সময় যাত্রীদের মাথা গুঁজতে দেখা যেত এই প্রতীক্ষালয়ে। কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতায় আক্ষেপ প্রকাশ করছেন গ্রামবাসী। দ্রুত ওই জায়গা পুনরুদ্ধার করে নতুনভাবে যাত্রী প্রতীক্ষালয় গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
চকরাম গ্রামের প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক অপূর্ব মণ্ডল বলেন, ‘রোজ স্কুলে যেতে আসতে এই প্রতীক্ষালয়টি নজরে পড়ে। সরকারি টাকায় নির্মিত এই প্রতীক্ষালয়ের এমন বেহাল দশা দেখে সত্যিই খারাপ লাগে। বর্তমানে ভূতুড়ে বাড়ির মতো অবস্থা। দ্রুত পুনরুদ্ধার করা প্রয়োজন।’
মহিলা তৃণমূলের জেলা সম্পাদক স্নেহলতা হেমব্রমের অভিযোগ, ‘পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থেকেও বিজেপি গ্রামের উন্নয়নের কথা ভাবছে না। প্রতীক্ষালয়টির জন্য জেলা পরিষদ বা ব্লক দপ্তরে তাদের যোগাযোগ করা উচিত। এখন গরম পড়ছে। রোদে আশ্রয় নিতে যাত্রী প্রতীক্ষালয় প্রয়োজন।’
তবে গ্রামের উপপ্রধান শিবু সরকারের সাফাই, ‘এই বিষয়টি নিয়ে কেউ আমাদের জানায়নি। এমন কোনও আবেদন আসলে আমরা নিশ্চয়ই ভাবনাচিন্তা করব। এই মুহূর্তে বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’