শুভাশিস বসাক, ধূপগুড়ি: ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি ছিল। কিন্তু ভোট মিটতেই বন্ধ নেতা-মন্ত্রীদের পরিদর্শন। আর তাতেই ক্ষিপ্ত হয়ে এবারে জলঢাকা নদীর বাঁধ তৈরির জন্যে ময়দানে নামল ভূমি রক্ষা কমিটি। এদিন ধূপগুড়ির (Dhupguri) দক্ষিণ আলতাগ্রাম এলাকায় বিক্ষোভ (Protest) মিছিলে পা মেলালেন পুরুষ-মহিলারা। দ্রুত বাঁধের কাজ শুরু না হলে আগামীতে আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কমিটি। এলাকার বাসিন্দা সফিয়ার রহমান বলেন, ‘প্রতি বছর বর্ষায় নদীর জলস্ফীতি ঘটে এবং বাঁধ না থাকায় বাসিন্দারা প্লাবিত হয়ে ভুগতে থাকেন। প্রায় ৬০০-র বেশি পরিবার ভুগছে।’ দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই সমস্যা চলছে বলে দাবি। এর আগে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ও অনগ্রসর শ্রেণি দপ্তরের মন্ত্রী বুলু চিকবড়াইক ঘটনাস্থলে এসে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সমস্যাও শুনেছেন। কিন্তু ওই সমস্যা এখনও মেটানো যায়নি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শিলিগুড়ির (Siliguri) মেয়র গৌতম দেবও দক্ষিণ আলতাগ্রামে যান। প্রতিশ্রুতি ছিল, ভোট পার হতেই বাঁধের সমস্যা মেটানো হবে। এমনকি বাসিন্দারা নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকা রাজ্যের শাসকদলের প্রতিনিধির থেকে স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে প্রতিশ্রুতি লিখিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট পার হয়ে গেলেও সমস্যা একইভাবে অধরা রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মমিনুর ইসলাম বলেন, ‘গ্রামের বাসিন্দারা জলে প্লাবিত হয়ে প্রতি বছরই ভুগছেন। কিন্তু জেনেও চুপ রয়েছেন শাসকদলের লোকেরা।’ ধূপগুড়ি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ জাহাঙ্গির কবির বলেন, ‘পুরোটাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অনুমোদন পেলেই কাজ হয়ে যাবে।’