বালুরঘাট: দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৬ বছর আগে। কিন্তু বর্তমানে অত্যাধুনিক নাগরিক সভ্যতার বেড়াজালে ক্রমশ রোগ ব্যাধির বশ্যতা স্বীকার করছে সাধারণ মানুষ। তাই বিভিন্ন রোগ ব্যাধির পরাধীনতা থেকে মুক্তির পথ দেখাতে অভিনব উদ্যোগ নিলেন বালুরঘাটের অধ্যাপক। যিনি হিলি সীমান্ত থেকে জাতীয় পতাকা হাতে ২৫ কিমি দৌড়ে পৌঁছোলেন বালুরঘাট। স্বাধীনতা দিবসের দিন তাঁর এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়োচ্ছে শহর তথা জেলাবাসীর।
হিলি পলিটেকনিক কলেজের ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক সুমন মজুমদার। আজ থেকে তিন বছর আগেও তাঁর ওজন ছিল ১০২ কেজি। ২০২০ সালে করোনার প্রকোপ দেখা যায়। তখন তিনি শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখার দিকে নজর দেন। তারপরে কেদারনাথ ভ্রমণে যান। সেখানেও নিজের অতিরিক্ত ওজনের জন্য যথেষ্ট বেগ পেতে হয় তাঁকে। তখনই মনস্থির করেন যেভাবে হোক তাঁকে শারীরিকভাবে সুস্থ হতে হবে। যার জন্য তিনি দৌড়কে সুস্থ থাকার মাধ্যম হিসেবে বেছে নেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। সেবছরেই জুন মাস থেকে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার দৌড়োন তিনি। এই তিন বছরে ঝড়-বৃষ্টি কোনও কিছুই তাঁকে দমাতে পারেনি। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতেও পরিচিত পরিধির মধ্যে সকলকে সুস্থতা বজায় রাখতে দৌড়োনোর পরামর্শ দেন তিনি। কিন্তু এবছর তিনি অন্য পরিকল্পনা করেন। তাঁর বাড়ি বালুরঘাটে ও কর্মস্থল হিলি। তাই এই দু’টি গন্তব্যকে তিনি বার্তা দেওয়ার পথ হিসেবে বেছে নেন। সেই অনুযায়ী স্বাধীনতা দিবসে হিলি স্থলবন্দর থেকে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে একটানা দৌড়ে তিনি পৌঁছোন বালুরঘাটের মঙ্গলপুরে বিবেকানন্দের মূর্তির পাদদেশে। মঙ্গলবার ভোরে তিনি দৌড় শুরু করেন। টানা ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট দৌড়ে সুস্থতার বার্তা দেন।
অধ্যাপক সুমনবাবু বলেন, ‘আমাদের মতো মাঝবয়েসিদের অনেকের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধছে। নাগরিক সমাজে এর প্রবণতা বেশি। এই বিষয়টি উপলব্ধি করেই আমি দৌঁড়োনোর প্রতি মন দিই। এখন আমি যথেষ্ট সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। তাই সকলকে উৎসাহিত করতেই আমার এই উদ্যোগ।