আসানসোল: রাতের অন্ধকারে ঘরে ঢুকে শাশুড়িকে গলা কেটে খুনের অভিযোগ উঠল জামাইয়ের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম শ্যামলী কর্মকার (৫০)। সোমবার রাতে আসানসোল উত্তর থানার কন্যাপুর ফাঁড়ির অন্তর্গত লালগঞ্জ গ্রামের শ্রীরামপুর পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। মঙ্গলবার ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে শ্যামলীদেবীর ছোট মেয়ে বৈশাখী মাঝি নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি পরিবারের। অভিযুক্ত বৈশাখী মাঝির স্বামী সদানন্দ ওরফে নানকা ঘটনার পর থেকে পলাতক।
এদিন প্রতিবেশীরা দেখেন দীপক কর্মকারের ঘরের দরজা খোলা অবস্থায় রয়েছে। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁরা ঘরের ভেতরে ঢুকতেই দেখেন রক্তাক্ত মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন শ্যামলীদেবী। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, চালের টালি ভেঙে বাড়িতে ঢুকে শ্যামলী কর্মকারকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়েছে। সোমবার রাতে শ্যামলীদেবীর স্বামী দীপক কর্মকার বাড়িতে ছিলেন না। কর্মসূত্রে তিনি কুলটিতে ছিলেন। খবর পেয়ে এদিন সকালে তিনি ছুটে আসেন।
শ্যামলীদেবীর পরিবারের দাবি, তার ছোট মেয়ের স্বামী সদানন্দ মাঝি শ্যামলীদেবীকে খুন করেছে। এর আগেও শ্যামলীদেবীর ছোট জামাই ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল। জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন শ্যামলীদেবী। সেবারের মতো প্রাণে বেঁচে যান তিনি। জানা গিয়েছে, মৃতার মাথা ও মুখে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে কী উদ্দেশ্যে খুন, তা নিয়ে কিছু স্পষ্ট জানা যায়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।