রূপক সরকার, বালুরঘাট: বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শংকর চক্রবর্তীর (Shankar Chakraborty) নাম তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে শোনা গিয়েছে। কিন্তু কোনও সভামঞ্চেই দেখা যায়নি একদা সহকর্মী শংকর চক্রবর্তীকে। রবিবার বালুরঘাটে জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েও একইভাবে শংকর চক্রবর্তীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখে শোনা যায়৷ তবে এদিনেও ওঁনাকে দেখা যায়নি।
আর প্রশ্ন উঠেছে এখানেই। প্রশ্ন, এর পিছনে কি রয়েছে দলীয় কোন্দল, না অন্য কিছু। একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভায় বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন বালুরঘাট বিধানসভা আসনের বিধায়ক শংকর চক্রবর্তী। ২০১১ সালে জয়ী হয়ে প্রথমে কারামন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ভালো কাজ করায় কিছুদিন পরেই তাঁকে পূর্ত দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তার থেকেও বড়, মমতার সঙ্গী ছিলেন শংকর চক্রবর্তী। ২০১১ সালে জয়লাভ করলেও ২০১৬ সালে পরাজিত হন তিনি। তারপরেও শংকর চক্রবর্তীকে ম্যাকিনটোস বার্নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেয়৷ কিছুদিনের জন্য জেলা তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন তিনি। তারপর বিপ্লব মিত্রকে জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদে বসানো হয়৷ বরাবরই বিপ্লব মিত্র ও শংকর চক্রবর্তী দু’জন দু’জনের বিরোধী বলেই পরিচিত। বর্তমানে দলীয় কোন্দল বেড়েছে। সেই জায়গা থেকে হয়তো তিনি আর প্রচারে আসছেন না।
যদিও এদিকে এবিষয়ে তৃণমূল প্রার্থী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘প্রচারে ওঁনাকে আমিও দেখছি না। বয়স হয়েছে। আমারও বয়স হয়েছে। আমি নিজেই পারছি না। আমার থেকে তো ওঁনার বয়স বেশি।’ অন্যদিকে এবিষয়ে শংকর চক্রবর্তীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।