সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: স্ত্রী জড়িয়েছেন পরকীয়ায়। তাই শাসন করেছিলেন স্বামী। আর সেটাই কাল হল। স্বামীকে শিক্ষা দিতে গিয়ে নিজের বাড়িতেই কার্যত ‘ডাকাতি’ করলেন স্ত্রী। তাতেই ক্ষান্ত থাকেননি। প্রায় তিন লক্ষ টাকা নগদ ও পাঁচ ভরি সোনার গয়না নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও গৃহবধূ। রবিবার ঘটনাটি ঘটে বালুরঘাটের (Balurghat) এক গ্রামে। সন্ধ্যের পর বাড়ি ফিরে সব জানতে পেরে বালুরঘাট থানার (Balurghat Police) দ্বারস্থ হলেন স্বামী ও গৃহবধূর বাবা। সোমবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
ওই গৃহবধূর স্বামীর দাবি, ছ’বছর আগে বালুরঘাটেরই এক মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁদের। বর্তমানে তাঁদের ৫ বছরের একটি শিশুসন্তানও রয়েছে। স্ত্রী, ছেলে নিয়ে সংসার তাঁর। বাবা-মা কেউ জীবিত নেই। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। জমির ফসল হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করেই চলে সংসারের চাকা। চলতি বছর জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষাবর্ষে ছেলেকে কামারপাড়ার একটি বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করেন ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, প্রতিদিন সকালে ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যেতেন তাঁর স্ত্রী। দিনভর কামাড়পাড়ায় কাটিয়ে ছুটির পর ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরতেন। সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে স্থানীয় এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও যেতেন তাঁরা। সেই খবরই কানে আসে ওই ব্যবসায়ীর। এরপর স্ত্রীকে শাসন করেন তিনি। সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন স্ত্রীকে। তাতেই এই বিপত্তি!
স্বামীর বক্তব্য, ‘রবিবার আমি হাটে গিয়েছিলাম। সারাদিন পর সন্ধেতে বাড়ি ফিরি। দেখি, সারা ঘর লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে রয়েছে। বিছানা, লকার সব অগোছালো। প্রায় তিন লক্ষ টাকা নগদ ও প্রায় পাঁচ ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছে ও। শুধু তাই নয়, যাওয়ার সময় আমাদের পাঁচ বছরের সন্তানকেও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছে। তারপরেই আমি শ্বশুরমশাইকে ফোন করে ডেকে এনেছি। ওঁকে সঙ্গে নিয়ে আজ বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম। স্ত্রীকে বোঝানোর পাশাপাশি শাসন করেছিলাম। কিন্তু ও যে আমার এত বড় ক্ষতি করে চলে যাবে তা বুঝতে পারিনি।’ এদিকে, একদিকে স্ত্রী ও সন্তান, অন্যদিকে এত টাকার সম্পত্তি হারিয়ে মাথায় হাত পড়েছে ওই ব্যবসায়ীর।