চ্যাংরাবান্ধা: হাতিতে ভুল করলে কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু মানুষ ভুল করে এক দেশের সীমানা পেরিয়ে আরেক দেশে গিয়ে হাজির হলে কী সমস্যা হয় তা বাংলাদেশের বাসিন্দা মহম্মদ রনি ইশন রাজেন বিলক্ষণ টের পাচ্ছেন। পেশায় ট্রাকের খালাসি। ট্রাকে তুলো ভরছিলেন। ক্লান্তির জেরে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন। মাত্র ঘণ্টাখানেকের ঘুমের মধ্যে কখন যে তিনি পড়শি দেশ ভারতে এসে পৌঁছেছেন তা টেরও পাননি।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর কেলেঙ্কারি কাণ্ড। পাসপোর্ট ছাড়া সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে বিএসএফ তাঁকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মঙ্গলবার কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের ঘটনা। ওই ব্যক্তি ঘুমের ঘোরেই তুলোবোঝাই ট্রাকে করে এপারে চলে আসেন বলে লিখিত বিবৃতিতে বিএসএফ জানিয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক আইন সংক্রান্ত কারণে তাদের কিছু করার নেই বলে বাহিনী জানিয়েছে। পরে ওই ব্যক্তিকে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিএসএফ ও চ্যাংরাবান্ধা ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট সূত্রে খবর, সোমবার বগুড়াতে ট্রাকে তুলোবোঝাই করার পর মহম্মদ রনি ইশন রাজেন সেই ট্রাকে তুলোর উপরই ঘুমিয়ে পড়েন। পণ্যবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চালকেরই ভারতে প্রবেশের অনুমতি রয়েছে। সেইমতো ট্রাকচালক আরিফ শেখ তুলোবোঝাই ট্রাকটি নিয়ে চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকেন। যাবতীয় নিয়ম মেনে ভারতে রপ্তানির জন্য তুলোবোঝাই ট্রাকটি নিয়ে তিনি বুড়িমরি থেকে চ্যাংরাবান্ধা স্থলবন্দরে পৌঁছে যান বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ভারতে ঢুকে ট্রাক নিয়ে থামতেই খালাসি লাফ দিয়ে নীচে নেমে ঘাবড়ে সমানে কাঁদতে থাকেন। দেখে চালক প্রচণ্ড ঘাবড়ে যান।
ঘটনার খবর পেয়েই চ্যাংরাবান্ধা সীমান্তের বিএসএফের ১৫১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা দ্রুত ট্রাকটির কাছে পৌঁছে যান। ট্রাকটিকে বাজেয়াপ্ত করে শুল্ক দপ্তরের কাছে এবং চালক ও খালাসিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। চালক ও খালাসি দুজনেই বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শেরপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তাও তদন্তকারীরা খতিয়ে দেখছেন।