সুভাষচন্দ্র বসু, বেলাকোবা: এগিয়ে এসেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময়। সময়মতো পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বেলাকোবা রেলগেটের যানজট পড়ুয়াদের বাড়তি মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। দুশ্চিন্তা কাটাতে উদ্যোগী প্রশাসনও। সে নিয়ে বুধবার জেলা প্রশাসনের একটি বৈঠকও হয়েছে। সেই বৈঠকে কথা হয়েছে প্রত্যন্ত এলাকার পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত সমস্যার কথা নিয়েও। এব্যাপারে আরটিও আধিকারিক নবীন অধিকারী বলেন, ‘দুর্গম অঞ্চলের পরীক্ষার্থীদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হবে। এই নিয়ে বুধবার জেলা শাসকের সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠক রয়েছে।’
রবিকান্ত রায়, রঞ্জিত বর্মনের মতো অনেক অভিভাবকেরই বক্তব্য, গতবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় দুপুর ১২টা হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে বেলাকোবা রেলগেটে নাজেহাল এবং ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে একাধিক পরীক্ষার্থীকে। রেলগেটে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার জেরে সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি কয়েকজন পরীক্ষার্থী। এবার তারও দু’ঘণ্টা আগে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে হলে পরীক্ষার্থীদের আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হবে বলে অভিভাবকদের আশঙ্কা।
গতবারের মতো এবারও যাতে বেলাকোবা রেলগেটে পরীক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য পুলিশ নজর রাখবে বলে বেলাকোবা ফাঁড়ির ওসি কুশাং টি লেপচা জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে বেলাকোবার পাশাপাশি অন্যান্য জায়গাতেও যাতে পরীক্ষার্থীদের সমস্যা না হয়, সেদিকে রাজগঞ্জ থানা এবং ভোরের আলো থানার পুলিশ নজর রাখবে। মাধ্যমিকের দায়িত্বে থাকা বেলাকোবা সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কৌশিক ঘোষ জানিয়েছেন, টাকিমারি চর এলাকা থেকে যেসব পরীক্ষার্থী আসবে এবং বেলাকোবা হাইস্কুলের যেসব পরীক্ষার্থী বারোপাটিয়া পিআরএন স্কুলে পরীক্ষা দিতে যাবে, তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করা হবে।
রাজগঞ্জ ব্লকজুড়ে মোট মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। মোট চারটি সেন্টার রয়েছে ব্লকে। যেগুলো হল বেলাকোবা সেন্টার, রাজগঞ্জ সেন্টার, সাহুডাঙ্গি সেন্টার এবং নিউ জলপাইগুড়ি সেন্টার। গতবার টাকিমারি চরে হাতির হানায় এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছিল। ডিএফও হরিকৃষ্ণান জানান, এবার যাতে ওরকম কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় বন দপ্তরের সজাগ নজর থাকবে।
গতবছর পরীক্ষার্থীদের কাছে কার্যত ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিলেন তৎকালীন বেলাকোবা ফাঁড়ির ওসি বুদ্ধদেব ঘোষ। তড়িঘড়ি রেলগেট পার করে পুলিশের গাড়িতে পরীক্ষার্থীদের উঠিয়ে তিনি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছিলেন।তবে সময় এগোনোতে অনেকেই ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন।