লিসবন: দেশ, কাল, ভাষার গণ্ডি ছাড়িয়ে দুর্গাপুজো এখন হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। তাই তো সুদূর পর্তুগালেও বেজে উঠেছে পুজোর বাদ্যি। এখন রীতিমতো সাজোসাজো রব আটলান্টিকপারে পর্তুগালের রাজধানী লিসবন শহরে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এখানে মাতৃবন্দনায় মেতে উঠতে চলেছে ভূমি-পর্তুগাল।
২০২২ সালের আগে পর্যন্ত পর্তুগালে দুর্গাপুজো হত না। গতবারই প্রথম লিসবনে পুজোর আয়োজন শুরু করেন এখানকার প্রবাসী বাঙালিরা। কলকাতার কুমোরটুলি থেকে মাতৃ প্রতিমা আনিয়ে শুরু হয় পুজো। উমাবন্দনায় সহযোগিতায় এগিয়ে আসে লিসবনের ভারতীয় দূতাবাস এবং আরয়োস প্যারিশ কাউন্সিল (লিসবন)।
ভূমি-পর্তুগাল আদতে একটি ভারতীয় সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক সংগঠন। সংগঠনটির সম্পাদক অভিষেক গুপ্তা বলছেন, যাঁরা ভারত এবং ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে ভালোবাসেন, কিন্তু কখনও ভারতে যেতে পারেননি, সেই পর্তুগিজ এবং পর্তুগালের প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য এই পুজোর আয়োজন। পুজোর কটা দিন এখানে ভারতীয় খাবার, নাচ, গান, পোশাক-পরিচ্ছদ এবং ভারতীয় ঐতিহ্য উপভোগ করার দুর্দান্ত সুযোগ থাকে। তাই দেশ, ধর্ম, সংস্কৃতি নির্বিশেষে প্রচুর মানুষ আমাদের এই আনন্দ উৎসবে শামিল হন।
এবছরে সপ্তাহান্তে দুর্গাপুজো হওয়ায় লিসবনের প্রবাসী ভারতীয়দের আনন্দ সীমাহীন। এবছর এখানে পুজো হবে তিনদিন। ২১ অক্টোবর বোধন ও সপ্তমী পুজো, ২২ অক্টোবর অষ্টমী ও সন্ধি পুজো এবং ২৩ অক্টোবর নবমী পুজো, হোম, দশমী পুজো, সিঁদুরখেলা অনুষ্ঠিত হবে। পুজোর পাশাপাশি থাকবে খাওয়াদাওয়া, সাংস্কৃতিক অনষ্ঠান, প্রদর্শনী ও গানবাজনার বন্দোবস্তও। এছাড়াও পুজো উপলক্ষ্যে পত্রিকা প্রকাশ করা হবে।
ভূমি-পর্তুগালের সভাপতি মানস সূত্রধরের কথায়, ইউনেসকোর কালচারাল হেরিটেজ তকমা পাওয়া দুর্গাপুজোর আনন্দকে আমরা পর্তুগালের আপামর বাঙালি, অবাঙালি, দেশি-বিদেশিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। সবাইকে নিয়ে আনন্দ অনুষ্ঠানে শামিল হয়ে সৌহার্দ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াই আমাদের পুজোর মূলমন্ত্র। এটাই আমাদের পুজোকে বিশ্বজনীন করে তুলেছে।