উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানো (Bilkis Bano) গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত তিন ধর্ষক আত্মসমর্পণের জন্য আরোও সময় চাইল। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) তিন ধর্ষকের দায়ের করা আবেদনের তালিকা প্রকাশ করে। বিলকিস বানোকে ধর্ষণের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির নির্দেশ সম্প্রতি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। অভিযুক্ত ১১ জনকে জেলে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ার এক সপ্তাহ পরে এই আবেদনগুলি করা হয়। ওই তিন অভিযুক্তর আবেদনই গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিলকিস বানো ধর্ষণ মামলায় তিন অভিযুক্ত, গোবিন্দভাই নাই চার সপ্তাহ, রমেশ চন্দনা ও মিতেশ ভাট আরও ছয় সপ্তাহ করে সময় চেয়েছেন আত্মসমর্পণ করার জন্য। সুপ্রিম কোর্টে গোবিন্দভাইয়ের আবেদন, তার ৮৮ বছর বয়সী বাবা ও শয্যাশায়ী ৭৫ বছর বয়সী মা সম্পূর্ণরূপে তার ওপর নির্ভরশীল। তার ওপর দু’ই সন্তানের দেখভালের দায়িত্বও তার ওপর। এই কারণে তার আরও চার সপ্তাহ সময় লাগবে। আবেদনে রমেশ চন্দনা শীর্ষ আদালতকে বলেছে যে তার ছেলের বিয়ের জন্য সময় লাগবে আর মিতেশ ভাট ফসল কাটার মরশুমের জন্য আরও ছয় সপ্তাহ সময় চেয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গোধরা-কাণ্ডের পর গুজরাতে সাম্প্রদায়িক হিংসা চলাকালীন, ৩ মে দাহোড় জেলার দেবগড় বারিয়া গ্রামে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বিলকিসকে গণধর্ষণ করা হয়। বিলকিসের চোখের সামনেই তাঁর ৩ বছরের মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করে দুস্কৃতীরা। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মোট ১২ জনের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল মুম্বইয়ের সিবিআই আদালত।
মামলা চলাকালীন ১ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২২ সালে বাকি ১১ জন ধর্ষক ও খুনিকে জেলে ভালো আচরণের জন্য মুক্তি দেয় গুজরাট সরকার। ২০২২ সালের ১৫ অগস্ট বিলকিসকে ধর্ষণ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুনে দোষীদের মুক্তির সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল গুজরাত সরকার (Gujrat Government)। এর পর আদালতের সম্মতিতে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।