অর্ঘ্য বিশ্বাস, ময়নাগুড়িঃ বড় ছেলে পৃথিবীতে আসছে সেই সুখবরটা পেয়েছিলেন ডুয়ার্সে এসেই। আর তখন থেকেই ডুয়ার্সের (Duars) প্রতি আলাদা টান টলিউডের অন্যতম কৌতুকাভিনেতা বিশ্বনাথ বসুর (Biswanath Bose)। সময়-সুযোগ পেলেই তাই ছুটে আসেন জঙ্গলের ডাক শুনতে। উত্তরের পরিবেশ, উত্তরের অরণ্য ও উত্তরের মানুষের সঙ্গে যেন তাঁর নিবিড় যোগাযোগ।
রবিবার রাতে ময়নাগুড়ি (Mainaguri) ব্লকের ইন্দিরা মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছিলেন বিশ্বনাথ। রাত কাটিয়েছেন ডুয়ার্সের একটি রিসর্টে। সোমবার সকালে কলকাতায় রওনা দেওয়ার আগে উত্তরবঙ্গ সংবাদকে বিশ্বনাথ বললেন, ‘ডুয়ার্সের অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, অনেক আপনজন রয়েছেন। তাই আবার আসব খুব তাড়াতাড়ি।’
সালটা ২০০৪ বা ২০০৫। স্বপন সাহার একটি সিনেমার শুটিংয়ে প্রথমবার উত্তরবঙ্গে এসেছিলেন বিশ্বনাথ। সেবার শিলিগুড়ি, লাটাগুড়ি, চালসা, মেটেলি সহ নানা জায়গায় ঘুরেছিলেন। সেই শুরু। তারপর যে কতবার এসেছেন এই পথে, হিসেব করে আর বলে উঠতে পারেন না।
মাস কয়েক আগে দেব অভিনীত প্রধান সিনেমার শুটিংয়ের জন্য দু’সপ্তাহেরও বেশি সময় ডুয়ার্সে কাটিয়েছেন তিনি। গরুমারা, লাটাগুড়ির জঙ্গলে শুনেছেন ঝিঁঝিপোকার ডাক। মূর্তির পাড়ে বসে হারিয়ে গিয়েছিলেন প্রকৃতির সৌন্দর্যে। তাঁর কথায়, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে। কথাটির গুরুত্ব বুঝতে হলে ডুয়ার্সে আসতেই হবে।’
পছন্দের অভিনেতাকে কাছে পেয়ে বেজায় খুশি ময়নাগুড়ির বাসিন্দা অনাদ্রিতা সরকার। তিনি বলছেন, ‘এতদিন টেলিভিশনে বিশ্বনাথের অভিনয় দেখেছি। এদিন সামনে থেকে দেখতে পেলাম। অসম্ভব ভালো মানুষ।’ অনাদ্রিতার মতো আপ্লুত আরও অনেকেই।
ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও বিশ্বনাথে মুগ্ধ। তাঁদের কথায়, বিশ্বনাথ আগেও এলাকায় এসেছিলেন। সকলের সঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি মিশে যেতে পারেন। বিশ্বনাথ আবার উত্তরে আসার জন্য উন্মুখ। ফেরার আগে তাঁর মুখে শোনা গেল, ‘দক্ষিণবঙ্গ থেকে অনেকটাই দূরে। তাই কাজের চাপে হুটহাট সময় হয়ে ওঠে না। একটু ফুরসত পেলেই আবার আসব। শিগগিরি।’