ধূপগুড়ি: ধূপগুড়িতে উপ নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা তৃণমূল শিবিরে। বিজেপিতে যোগদান করেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। আর মিতালি যোগ দিতেই জয়ের গন্ধ পাচ্ছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের নেতারা মনে করছেন, এই কেন্দ্রে রাজবংশী ভোট একটা বিরাট ফ্যাক্টর। প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দেওয়ায় রাজবংশী ভোট তাঁদের দিকেই থাকবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও এবিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। শুভেন্দু বলেন, “আমি ওঁকে যুবনেত্রীর সময় থেকে চিনি। ওঁর যোগদানে বিজেপির ভোট বাড়ল। আর মিতালি ধূপগুড়ির ভোটার। তাঁর নিজের বেশ কিছু অনুগামী রয়েছে। ফলে আমাদের ভোট নিশ্চিতভাবে বৃদ্ধি পেল। এত আমাদের প্রার্থীর জয়ের মার্জিন বাড়বে।”
যদিও মিতালির তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, “উনি গতকালও তৃণমূলের মিছিলে হেঁটেছেন। এখন বিজেপিতে গিয়েছেন শুনছি। ওঁর কী মনে হয়েছে জানি না। কিন্তু এতে ফলের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। ওইখানে আমরাই জিতব।”
শনিবারই ধূপগুড়িতে উপ নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে তাঁর হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন মিতালি রায়।
মিতালি বলেন, ‘তিন বছর থেকে তো আমাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। প্রাক্তন বিধায়ক ছাড়া আমার আর কোনও অস্তিত্ব ওই দলে ছিল না। কাজ করতে দিচ্ছিল না। এদিকে বানারহাটের হাতিনালার কাজ হচ্ছে না। রাজবংশীদের অপমান হতে হচ্ছে তৃণমূলের কাছে। এই কারণেই মানুষের কাজ করতে বিজেপিতে যোগদান করলাম।’
মিতালিকে দলে পেয়ে খুশি রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, ‘ওঁর অভিজ্ঞতা এবং কাজ করার মানসিকতা দলের উপকারে লাগবে। ওঁকে গোটা উত্তরবঙ্গজুড়ে কাজে লাগানো হবে।’