নয়াদিল্লি: লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার শেষ দিনে বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। এদিন অসংসদীয় আচরণের জন্য অধীরকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। যার পালটা দিয়েছে বিরোধী শিবির। অধীর নিজে গোটা বিষয়টিতে অত্যন্ত হতাশ৷ তাঁর দাবি, ‘আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অসম্মান করে কিছুই বলিনি৷ রাজারা অন্ধ থাকলে দ্রৌপদীদের বস্ত্রহরণ হবেই, বলি আমি৷ অন্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্রের কার্যকালে হস্তিনাপুরে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের কথা বলেছিলাম৷ এখন মণিপুরেও তেমন ঘটনা ঘটছে৷ ব্যক্তিগত ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করিনি আমি৷ একটা উদাহরণ দিয়েছিলাম মাত্র৷’
এই মর্মেই অধীরের সংযোজন, ‘নীরব মোদী দেশ লুঠ করে চলে গেছে বিদেশে, মজায় আছে সেখানে৷ এখন আমার মনে হচ্ছে নতুন একজন নীরব মোদীর জন্ম হয়েছে৷ মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ‘নীরব’ নিশ্চুপ থাকছেন৷ এই প্রেক্ষিতে তাঁর নীরবতাকে নিশানা করেছিলাম৷ এর পাল্টা দিয়ে একজন বিজেপি সাংসদ লোকসভা কক্ষে আমাকে মারতে পর্যন্ত চলে এসেছিল৷ তার কোনও সাজা হয়নি৷ এখন আমাকে সাসপেন্ড করা হল৷’ প্রসঙ্গত এদিন লোকসভায় মোদীর উপস্থিতিতে অধীর চৌধুরী এই মর্মে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলে ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে বেরিয়ে এসে সরাসরি অধীরের উপর চড়াও হন উত্তরপ্রদেশের বালিয়া কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ বীরেন্দ্র সিংহ ‘মস্ত’। প্রহ্লাদ যোশী, নিশিকান্ত দুবে, অর্জুনরাম মেঘোয়ালরা না আটকালে তিনি হয়তো অধীরের গায়ে হাত তুলতেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভে উত্তাল হয় বিরোধী শিবির। পরে অবশ্য লোকসভায় দাঁড়িয়ে তাঁর আচরণের জন্য দু:খপ্রকাশ এবং নি:শর্ত ক্ষমাপ্রার্থনাও করেন উত্তরপ্রদেশের এই ‘বাহুবলি’ সাংসদ।