উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকা-উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন তোলার অভিযোগ ওঠে। এনিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি পাঠান ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। চিঠিতে সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত দাবি করা হয়। জানা গিয়েছে, এবার এই অভিযোগ পাঠানো হয়েছে লোকসভার এথিক্স কমিটিতে। সেই কমিটির সভাপতি হলেন বিজেপি সদস্য বিনোদ কুমার সোনকার।
সম্প্রতি, নিশিকান্ত দুবে স্পিকারকে এ সংক্রান্ত চিঠি লেখেন। মহুয়ার সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়ার দাবিও জানান নিশিকান্ত দুবে। আইনজীবী অনন্ত দেহাদ্রিও মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানিয়ে সিবিআই প্রধান প্রবীণ সুদকে চিঠি দেন। দু’জনেরই অভিযোগ ছিল, ব্যবসায়ী দর্শন হিরনন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লোকসভায় সরব হয়েছেন মহুয়া। এমনকি আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম সুকৌশলে জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
নিশিকান্ত দুবে তাঁর চিঠিতে ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বরের একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। তিনি জানিয়েছেন একই অভিযোগে তৎকালীন স্পিকার তদন্ত কমিটি গঠনের পর মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে লোকসভার ১০ সাংসদকে অপসারণ করেছিলেন। এরপরই মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের জন্য কমিটি গঠনের আর্জি জানান নিশিকান্ত। নিশিকান্তের চিঠির আগেই সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদকে চিঠি দিয়ে তদন্তের আর্জি জানান আইনজীবী অনন্ত দেহাদ্রি।
যদিও এর বিরুদ্ধে পালটা তোপ দেগে আইনজীবী মারফত আইনি চিঠি পাঠান মহুয়া। তাতে নিশিকান্ত এবং দেহাদ্রির বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ তোলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। মহুয়া বলেন, জনসমক্ষে তাঁর নামে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করতে এই ষড়যন্ত্রের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, লোকসভা অধ্যক্ষকে পাঠানো চিঠি প্রত্যাহার করতে হবে নিশিকান্ত দুবেকে। এরপর এই আইনি নোটিশের বিরুদ্ধে পালটা সরব হন নিশিকান্তও।