বক্সিরহাট: ‘বিজেপি-আরএসএস দেশজুড়ে ঘৃণা, হিংসা ছড়াচ্ছে তাই বিজেপির অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তেই ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে।‘ ন্যায় যাত্রার দ্বাদশ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার অসম ছাড়িয়ে বাংলায় প্রবেশ করে এমনটাই জানালেন রাহুল গান্ধি। এদিন সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ অসম-বাংলা সীমানার বক্সিরহাটের জোড়াইমোড়ে প্রবেশ করেন রাহুল গান্ধি। রাহুলকে বাংলায় স্বাগত জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
অসমের কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ভুপেন কুমার বোড়া এদিন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে পতাকা বদল করেন। এরপর সভামঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল বলেন, ‘দেশে অন্যায় হচ্ছে। বিজেপি-আরএসএস দেশজুড়ে ঘৃণা, হিংসা ছড়াচ্ছে। বিজেপির অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তেই ইন্ডিয়া জোট তৈরী হয়েছে। বাংলার মানুষের কথা শুনতে এসেছি।‘
অন্যদিকে, যখন রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রা বক্সিরহাটে প্রবেশ করেন, সেইসময় জোড়াইমোড় এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা অধীরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখায়। রাহুল ও অধীরের কনভয়ের সামনেও ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন তৃণমূলের বিক্ষোভকারীদের একাংশ।
এক তৃণমূল কর্মী ইন্দ্রজিৎ পাল জানান, রাহুলের ন্যায় যাত্রার সমর্থন করছেন তাঁরা। তবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধেই তাঁদের ক্ষোভ। কারণ বিভিন্ন সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি যে ভাষায় আক্রমণ করেন তাতে বাংলায় ইন্ডিয়া জোটের ক্ষতি হবে। বাংলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই ইন্ডিয়া জোট তৈরি করতে হবে। তাহলেই একমাত্র ভারত থেকে বিজেপিকে উৎখাত করা সম্ভব হবে। কংগ্রেস নেতৃত্বদের মূলত এই বার্তা দিতেই তাঁদের এই বিক্ষোভ।
এদিন রাহুলকে দেখতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য দলীয় কর্মী সমর্থক ভিড় জমায়। এদিন অসম-বাংলা সীমানা সহ জাতীয় সড়কজুড়ে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ।
অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘বাংলার প্রশাসনিক তরফে অনেক রকম বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবুও রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রায় জনজোয়ার হবে। মানুষের ঢল নেমেছে। কেউ ইচ্ছা করলেও সেই জনজোয়ার আটকাতে পারবে না।’