করণদিঘি: বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন করণদিঘি ব্লকের দোমোহনা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক পরিযায়ী শ্রমিক। এক মাসেরও বেশি সময় পর আঞ্জারুল হক নামে ওই ব্যক্তির কফিনবন্দি দেহ শুক্রবার এলাকায় ফিরল।
মৃতের বাবা মোহাবুল হক জানান, ট্রেন দুর্ঘটনার পর তাঁর দুই আত্মীয় সাদ্দাম হোসেন ও নুর আলম সেখানে যান। হন্যে হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে আঞ্জারুলের খোঁজ করা হচ্ছিল। এরপর আঞ্জারুলের দাদা আতাউর রহমান ভুবনেশ্বরে ছুটে যান। সেখানে ডিএনএ টেস্টের জন্য রক্ত দেন। রক্ত দেওয়ার প্রায় ২৫ দিন পর ভুবনেশ্বরের এইমস হাসপাতালের তরফে রিপোর্ট দেওয়া হয়। এরপর এদিন তাঁর কফিনবন্দি দেহ নিয়ে আসা হয়। এদিন মৃতের বাড়িতে যান স্থানীয় বিধায়ক গৌতম পাল ও পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সবরকমভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।
প্রসঙ্গত, ২ জুন ওডিশার বালাসোরের বাহানাগা বাজারের কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা হয়। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, প্রথমে করমণ্ডল এক্সপ্রেস তীব্র গতিতে গিয়ে ধাক্কা মারে একই লাইনে আগে চলতে-থাকা একটি মালগাড়ির পিছনে। দুর্ঘটনার অভিঘাতে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপরে উঠে যায়। ২৩টি কামরার মধ্যে ১৫টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের ডাউন লাইনে ও নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। সেই লাইন দিয়ে তখন উলটো দিক দিয়ে আসছিল ডাউন বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত কামরাগুলি গিয়ে পড়ে ডাউন লাইনের উপর।
বেঙ্গালুরু-হাওড়া ডাউন ট্রেনটি সেই বেলাইন কামরাগুলির উপর এসে পড়ে। হাওড়াগামী সেই ট্রেনটিরও দু’টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। উদ্ধারকাজে আনা হয় একাধিক উন্নত মানের যন্ত্র। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯৩ জনের। আহত হাজারেরও বেশি। সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় রেল দুর্ঘটনার নজির নেই। সিবিআই এই দুর্ঘটনার তদন্ত করছে। পাশাপাশি রেলের তরফেও বিভাগীয় স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।