সামসী : ওডিশার বালাসোরে আপ করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন চাঁচল-২ ব্লকের বিষণপুরের ১৯ বছরের যুবক নুরুল ইসলাম। ডিএনএ পরীক্ষা করে দীর্ঘ একমাস পর তাঁর কফিনবন্দি দেহ রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ তাঁর নিজের গ্রামে ফেরে। রাতেই তাঁকে সমাধিস্ত করা হয়।
২ জুন বালাসোর ট্রেন দুর্ঘটনার পর নুরুলের খোঁজ না মেলায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয় পরিবার। নুরুলের বাড়ির লোকজন ছেলের সন্ধানে বালাসোরেও যান। সেখানেই একটি মর্গে নুরুলের মৃতদেহের হদিস মেলে। এদিকে একই মৃতদেহ মালদার যদুপুরের নিখোঁজ পরিযায়ী শ্রমিক ইউনুসের বলে তাঁর পরিবারও দাবি করে। একই মৃতদেহ নিয়ে দুই পরিবারের টানাপোড়েনের জন্য প্রশাসন ডিএনএ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশেষে ডিএনএ টেস্টে মৃতদেহ নুরুলের বলে প্রমাণিত হয়। এরপরই মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পরিযায়ী শ্রমিক নুরুল ইসলামের বাবা মহম্মদ আলাউদ্দিন। তিনি পেশায় দিন মজুর। মা নূরেশা বিবি গৃহবধূ। পরিবারের জমি জায়গা নেই এক কাঠাও। বাবার আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় নুরুল চেন্নাই যাচ্ছিলেন কাজের সন্ধানে। কিন্তু তা আর হল না। ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ চলে গেল তাঁর। বাড়ির ছেলেকে হারিয়ে এখন অথৈ জলে পরিবার। এদিন নুরুলের শেষকৃত্য উপস্থিত ছিলেন গ্রামবাসীরা। শোকে ভেঙে পড়েছে তাঁর পরিবারও। বাবা আলাউদ্দিন পরিবারের কাউকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন।