উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বকে ঘিরে অশান্তি অব্যাহত জেলায় জেলায়। মঙ্গলবার মনোনয়ন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। বিডিও অফিসের সামনেই একের পর এক বোমার গর্জন। চলেছে গুলিও। লাঠি, বাঁশ নিয়ে চলল বেধড়ক সংঘর্ষ। হল ইটবৃষ্টি। দ্বিতীয় দফায় ভাঙড়ে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম, আরাবুলের ছেলে হাকিমুল ইসলাম সহ একাধিক তৃণমুল নেতা ও কর্মীর গাড়িতে ভাঙচুর ও গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে আরাবুল ইসলামের ছেলের গাড়ির ড্যাশবোর্ডে মিলেছে তাজা বোমা। বোমাটি গাড়িতেই ছিল নাকি কেউ সেখানে রেখেছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
এদিন দুপুরের দিকে বিধায়ক আরাবুল ইসলামের ছেলে হাকিমুলের গাড়ি ছেকে উদ্ধার হয় একটি বোমা। বিষয়টা প্রকাশ্যে আসতে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। যদিও গোটা ঘটনার দায় আইএসএফের ওপর চাপানো হয়েছে। তবে আইএসএফের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
এদিকে এদিন নওশাদ সিদ্দিকির নেতৃত্বে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকদের ভাঙড়ের ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, বিডিও অফিসের সামনেই ১৪৪ ধারা অমান্য করে তৃণমূল কর্মীরা জমায়েত করে ছিলেন। আইএসএফের অভিযোগ, তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। বিজয়গঞ্জ বাজার, কাঁঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি চলে। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় গাড়ি, মোটরবাইক। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও হামলা আটকানোর কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও অভিযোগ ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। সমস্ত ঘটনার অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, অশান্তির মাঝেও এদিন মনোনয়ন পেশ হয়েছে।