রায়গঞ্জ: বধূ নির্যাতনের খবর তো প্রায়ই শোনা যায়। এবার ঠিক তার উলটো ঘটনা ঘটল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। বৌমার মারধরে সংজ্ঞা হারিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন শাশুড়ি। ঘটনার জেরে অভিযুক্ত বৌমা দিপালী দত্ত দাসকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে গোয়ালপোখর থানার স্কুল পরিদর্শকের দপ্তরে গ্রুপ ডি পদে চাকরি করেন দিপালী দাসের স্বামী নকুল দাস। স্বামীকেও এর আগে মারধর করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন ওই গৃহবধূ।
গৃহবধূর শাশুড়ি পদ্মা দাসের অভিযোগ, ‘বৌমার অত্যাচারে বাড়িতে থাকতে ভয় পাচ্ছি। যেকোনও সময় হামলা করছে। গলা টিপে ধরছে। অনেকবার আমাকেই আমার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে।’ বিবরণ দিতে দিতে সত্তর বছরের বিধবা শাশুড়ি পদ্মা দাস থানার মধ্যেই হাউ হাউ করে কেঁদে ভাসান।
প্রতিবেশীদের সূত্রে জানা গেছে, দম্পতির একটি কন্যা সন্তান থাকলেও তার খেয়াল রাখেন না স্ত্রী। এই সমস্ত বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলেই স্বামী ও শাশুড়ির ওপর অত্যাচার হত। এদিন অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে স্ত্রী-র বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্বামী। সেইমতো পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। যদিও আদালত ধৃতকে জামিন দিয়েছে।
স্বামী নকুল দাসের অভিযোগ, ‘একাধিকবার বারণ করা সত্ত্বেও অশান্তি বন্ধ করা যায়নি। আমি স্ত্রীকে বলেছিলাম আমার উপর অত্যাচার করছো কর, আমার মায়ের উপর অত্যাচার কোরোনা। কিন্তু গতকাল রাতে আমার মাকে যেভাবে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে, তাতে পুলিশের দারস্থ হতে বাধ্য হয়েছি।” যদি মারধর প্রসঙ্গে অভিযুক্ত বধূ দিপালী দত্ত দাস বলেন, “আমার শাশুড়িকে মারধর দেওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, মাঝে মধ্যেই আমাকে বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়। সেই কারণেই শাশুড়িকে মারধর করি। আর আমার স্বামীকে মারধর করার কারণ অন্য মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাঝেমধ্যে মার দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করি।”