উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা। দেশজুড়ে অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে পালিত হয় দিনটি। বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়। এই পবিত্র তিথিতে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি হিন্দুদের কাছেও এই দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হিন্দু ধর্ম অনুসারে শ্রী বিষ্ণুর নবম অবতার হিসেবে গণ্য করা হয় গৌতম বুদ্ধকে।
বৃহস্পতিবার বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে শিলিগুড়ি শহরে শান্তির বার্তা দিয়ে শোভাযাত্রা বের হল। এদিন মহানন্দা পাড়ার বুদ্ধ ভারতী ও হায়দার পাড়ার বিদেষন ধ্যান আশ্রম যৌথভাবে একটি বড় শোভাযাত্রা বের করে। শোভাযাত্রাটি বিধান রোড, হিলকার্ট রোড পরিক্রমা করে। শোভাযাত্রার মাধ্যমে বুদ্ধদেবের জীবন দর্শন তুলে ধরা হয় পাশাপাশি শিলিগুড়ি, বুদ্ধিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের তরফেও শুভযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় একশোর বেশি ‘কঙগুর’ (বুদ্ধদের একটি বই) নিয়ে ঘোরা হয়েছে। অন্যদিকে, এদিন সকাল থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে তরিবাড়ির ইওয়াম ইন্ডিয়া বুদ্ধিস্ট মনাস্ট্রিতে। সকাল থেকেই সেখানে চলছে পুজার্চনা।
উৎসাহ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে মেটেলি ব্লকেও পালিত হল গৌতম বুদ্ধের জন্মদিন। এদিন সামসিং গুম্ফা লাইনের তাসী চৌহান গুম্ফা, চালসার মঙ্গলবাড়ি বস্তি গুম্ফা ও মহাবাড়ি গুম্ফায় নানান অনুষ্ঠান হয়। সকলের মঙ্গল ও বিশ্বশান্তির জন্য প্রার্থনা হয়। সংলগ্ন এলাকায় বুদ্ধধর্মের মানুষ এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। বিকেলে বিভিন্ন ধর্মের মানুষের ভিড় দেখা যায় গুম্ফাগুলিতে।
বুদ্ধ পূর্ণিমায় সকাল থেকেই ডামডিমের মনাস্ট্রিতে প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বুদ্ধ মূর্তি সহযোগে লামাদের একটি শোভাযাত্রা সম্পূর্ণ মঠ পরিক্রমা করে। সাধারণ ভক্তরাও এতে শামিল হন। শুধুমাত্র বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাই নন নানান ধর্মের মানুষেরা বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে এদিন মনাস্ট্রিতে ভিড় জমান। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে। ভিড় নিয়ন্ত্রণে পুলিশের তরফে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল।
গাজোলের শিক্ষক পল্লী এলাকায় যোগা মাঠে নির্মল যোগ সংঘের উদ্যোগে পালিত হল গৌতম বুদ্ধের জন্মজয়ন্তী। গৌতম বুদ্ধের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, পুষ্পাঞ্জলি এবং পুজোর মাধ্যমে পালন করা হয় দিনটি। উপস্থিত ছিলেন নির্মল যোগ সংঘের সমস্ত শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে প্রাঞ্জলভাবে আজকের দিনটি সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেন যোগ গুরু নির্মল সাহা।